তিনি একেকবার ক্লাব বদল করেন, আর একেকবার তাঁর বয়স নিয়ে সন্দেহ ডালপালা মেলে।
বলা হচ্ছিল চ্যান্সেল এমবেম্বার কথা। কঙ্গোর এই সেন্টারব্যাক কয়েক বছর আগেও নিউক্যাসল ইউনাইটেডে খেলতেন। আলো ছড়াতে পারেননি। পরে ঠাঁই হয় পর্তুগিজ ক্লাব এফসি পোর্তোয়। সেখানে নাম কামিয়ে এ মৌসুমেই যোগ দিয়েছেন ফরাসি ক্লাব অলিম্পিক মার্শেইয়ে। সম্প্রতি মার্শেইয়ের সঙ্গে তিন বছরের চুক্তি সই করেছেন। আর সই করার সঙ্গে সঙ্গেই তাঁর বয়স নিয়ে আরেকবার আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়েছে। ফরাসি সংবাদমাধ্যম লেকিপ এমবেম্বার বয়সের ধোঁয়াশা নিয়ে প্রতিবেদন করেছে আবারও।
বলা হচ্ছে, এমবেম্বার বয়স ২৭ বছর। জন্মেছেন ১৯৯৪ সালের ৮ আগস্ট। অর্থাৎ কিছুদিন পরই পা দেবেন আটাশে। এমবেম্বার এই জন্মতারিখ ফিফাও মেনে নিয়েছে। মেনে নিয়েছে তাঁর প্রথম পেশাদার ক্লাব আন্ডারলেখটও। তবে ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে আন্ডারলেখটে থাকার সময় এমবেম্বার জন্মসাল নিয়ে প্রথম সন্দেহের সৃষ্টি হয়।
তখন এমবেম্বা বলেন, তিনি আসলে ১৯৮৮ সালে জন্মেছেন। এই ধোঁয়াশার কারণে আন্ডারলেখটের হয়ে অভিষেকের সময় বেশ সমস্যায় পড়তে হয়। শেষ পর্যন্ত এমবেম্বার জন্মতারিখ ৮ আগস্ট, ১৯৯৪ সালে নিবন্ধন করে ঝামেলা এড়ায় বেলজিয়ামের ক্লাবটা।
২০১৩ সালে আফ্রিকান নেশনস কাপে আবারও গুঞ্জন শুরু হয় তাঁর বয়স নিয়ে। তখন তাঁর জন্মতারিখ নিবন্ধন করা হয় ৩০ নভেম্বর, ১৯৯১। শুধু তা–ই নয়, ২০১২ সালের লন্ডন অলিম্পিক যেন খেলতে পারেন, সে কারণে কঙ্গোর ফুটবল ফেডারেশন ইচ্ছা করে তাঁর বয়স বাড়ায়।
২৩ বছরের কম বয়সীরা সে টুর্নামেন্ট খেলতে পারবেন, যে কারণে এমবেম্বার বয়স কমিয়ে জন্মতারিখ নিবন্ধন করা হয় ১৯৯০ সালে। সব মিলিয়ে বলা যেতে পারে, এমবেম্বার জন্মসাল চারটি!
এমবেম্বার বয়স নিয়ে ২০১৩ সালে সিএনএন একটা অনুসন্ধানী প্রতিবেদনও প্রকাশ করে। সেখানে নাম প্রকাশ করতে না চাওয়া কঙ্গো ফেডারেশনের এক কর্মকর্তা স্বীকার করেন, ২০১২ অলিম্পিকে এমবেম্বাকে খেলানোর জন্য বয়স বাড়িয়েছিলেন তাঁরা। ২০১৫ সালে এমবেম্বার যখন নিউক্যাসল ইউনাইটেডে যোগ দেন, তখন দাবি করেছিলেন, তাঁর জন্মদিন ১৯৯৪ সালের ৮ আগস্টই এবং এর পক্ষে তাঁর কাছে ফরেনসিক প্রমাণও আছে।
হয়তো এখন সাত বছর পর সে প্রমাণটা মার্শেইর কাছেও দাখিল করতে হবে এমবেম্বাকে!
এ জাতীয় আরো খবর..