বেশি না, মাত্র তিন বছর। মাত্র তিন বছর আগেই ফ্রেঙ্কি ডি ইয়ংয়ে জাভির ছায়া দেখতে পেয়েছিল বার্সেলোনা। জাভি যেমন বার্সেলোনার মাঝমাঠের হাল ধরতেন, আগামীর বার্সায় সে ভূমিকা নেবেন ডাচ্ মিডফিল্ডার ডি ইয়ং, এমনটাই আশা করেছিল কাতালান ক্লাবটি।
তিন বছরে সে আশা কতটুকু পূরণ হয়েছে, সেটা তর্কসাপেক্ষ ব্যাপার। তবে জাভি নিজেই আগামীর বার্সেলোনায় ডি ইয়ংকে চাইছেন না। ব্রিটিশ ওয়েবসাইট দ্য অ্যাথলেটিক জানিয়েছে, খোদ বার্সেলোনাই সরাসরি ডি ইয়ংকে বলে দিয়েছে, ‘ক্লাব ছাড়ো। যোগ দাও ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে।’
অতিরিক্ত বেতনভোগী ডি ইয়ংকে বিক্রি করে রাফিনিয়া, আন্দ্রেয়া ক্রিস্টেনসেন ও ফ্র্যাঙ্ক কেসির মতো নতুন তারকাদের নিবন্ধন করতে চায় বার্সেলোনা। এ জন্যই ডি ইয়ংকে ক্লাব থেকে বের করে দেওয়ার এত তোড়জোড়।
অ্যাথলেটিকের মতে, ডি ইয়ংকে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে যোগ দিতে বলার সিদ্ধান্তটা যতটা না ফুটবলীয়, তার চেয়ে ঢের বেশি অর্থনৈতিক। প্রাক-মৌসুমের ম্যাচ খেলতে যুক্তরাষ্ট্রে যাচ্ছে বার্সেলোনা, ডি ইয়ং কি দলের সঙ্গে যোগ দেবেন কি না, সেটা নিয়েও তাই যথেষ্ট ধোঁয়াশা আছে।
ওদিকে ডি ইয়ংকে পাওয়ার জন্য সাড়ে সাত কোটি ইউরোর প্রস্তাব নিয়ে বসে আছে রেড ডেভিলরা। দলবদল বাবদ সাড়ে সাত কোটি ইউরো, পরে বিভিন্ন বোনাস মিলিয়ে ডি ইয়ং বাবদ আরও এক কোটি ইউরো আয় করার সুযোগ থাকছে বার্সেলোনার সামনে।
বার্সেলোনাও মনে করছে, ইউনাইটেডের এই প্রস্তাব ডি ইয়ংকে বিক্রি করার জন্য যথেষ্ট। কিন্তু ডি ইয়ং নিজে যেতে চাইলে তো!
সমস্যাটা সেখানেই হয়েছে। ডি ইয়ং নিজেই বার্সা ছাড়তে চাইছেন না। কারণ, আর কিছুই না, বেতন। স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম মার্কা জানিয়েছে, বেতন বাবদ বার্সেলোনার কাছ থেকে এখনো প্রায় ১ কোটি ৭০ লাখ ইউরো পান ডি ইয়ং। বাংলাদেশি হিসেবে প্রায় ১৬০ কোটি টাকার মতো। খবরটা নিশ্চিত করেছে অ্যাথলেটিকও। বার্সেলোনার সঙ্গে ডি ইয়ংয়ের চুক্তি ২০২৬ সাল পর্যন্ত। এই সময়ে বার্সেলোনার কাছ থেকে বেতন-বোনাস বাবদ আরও ৮ কোটি ৮৭ লাখ ইউরো পাওয়ার কথা এই ডাচ্ তারকার।
বার্সেলোনা এমনিতেই ডি ইয়ংয়ের প্রিয় ক্লাব, তাও যদি প্রিয় ক্লাব ছাড়তেই হয়, পুরো বেতন নিয়েই ছাড়ব, এমনটাই হয়তো ভাবছেন ডি ইয়ং! কিছুদিন আগেও ডি ইয়ংকে বিক্রি করা হবে না, এমন কথাই বলেছিলেন বার্সেলোনার সভাপতি হোয়ান লাপোর্তা। ডাচ তারকাকে বিক্রি করার জন্য বার্সার এই তোড়জোড় সে কথাকেই মিথ্যে প্রমাণ করে দিচ্ছে।
এ জাতীয় আরো খবর..