×
  • প্রকাশিত : ২০২২-০৭-১৫
  • ৬৮ বার পঠিত
বলতে গেলে অর্থহীন একটা ম্যাচই। জয়-পরাজয়ে কারও তেমন কিছু পাওয়ার নেই, বরং ম্যাচ থেকে হারানোর কিছু আছে। ব্রাজিল আর আর্জেন্টিনার আর কোনো প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচ কখনো এতটা আকর্ষণহীন ছিল কি না, সে নিয়ে বরং আলোচনা হতে পারে। 

তবে এই ম্যাচ নিয়েই নাটকের শেষ নেই। গত সেপ্টেম্বরে সাও পাওলোর বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে ব্রাজিল-আর্জেন্টিনার যে ম্যাচটি স্থগিত হয়ে গিয়েছিল, সেটির আয়োজন নিয়ে একের পর এক ঝামেলা যেন থামছেই না! আগামী সেপ্টেম্বরের শেষদিকে ম্যাচটি ব্রাজিলের মাটিতেই আয়োজনের নির্দেশ দিয়েছিল ফিফা। কিন্তু এখন আবার ঝামেলা! ম্যাচটি যাতে না হয়, সে আবেদন নিয়ে সর্বোচ্চ ক্রীড়া আদালতে (সিএএস) গেছে আর্জেন্টিনা। এটির রায় না আসা পর্যন্ত ম্যাচটি হওয়ার সুযোগ নেই। 

গত বছরের সেপ্টেম্বরে সাও পাওলোতে ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনার ম্যাচটি মাঠে গড়ানোর মিনিট পাঁচেক পরই বন্ধ করে দিতে হয়। ইংল্যান্ডের ক্লাবে খেলা চার আর্জেন্টাইন খেলোয়াড় ব্রাজিলে ঢোকার ক্ষেত্রে করোনাসংক্রান্ত তথ্য গোপন করেছেন, এই অভিযোগে সাও পাওলোর স্বাস্থ্যবিষয়ক সংস্থার (আনভিসা) কর্মকর্তারা মাঠে ঢুকে পড়েন।

এরপর দক্ষিণ আমেরিকাসহ বাকি সব অঞ্চলের বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের বাকি সব ম্যাচ শেষ হয়েছে। মহাদেশীয় প্লে-অফের পর আন্তঃমহাদেশীয় প্লে-অফও শেষ। ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনা অপরাজিত থেকে কাতার বিশ্বকাপে জায়গা নিশ্চিত করেছে অনেক আগেই। 

তা-ও কী, স্থগিত হয়ে যাওয়া এই ম্যাচটি হাতে রেখেই তিনে থাকা উরুগুয়ের (২৮) চেয়ে ১১ পয়েন্ট এগিয়ে দ্বিতীয় আর্জেন্টিনা, শীর্ষে থাকা ব্রাজিলের পয়েন্ট ৪৫। সেদিক থেকে ব্রাজিল-আর্জেন্টিনার এই ম্যাচটি খেলা-না খেলা তাই কোনো দলের বিশ্বকাপে যাওয়া-না যাওয়ার সমীকরণে কোনো প্রভাবই ফেলবে না। ফেলবে কীভাবে, বিশ্বকাপের ৩২ দল তো এরই মধ্যে চূড়ান্ত হয়ে গেছে।

তবে বাছাইপর্বের আয়োজনের শেষ টানতেই হয়তো ফিফা ম্যাচটা খেলাতেই চায় এবং সেটি ব্রাজিলের মাটিতেই খেলতে হবে। আর্জেন্টিনা সব সময়ই ম্যাচটা খেলার বিপক্ষে ছিল, ব্রাজিলও তেমন আগ্রহী নয়। ব্রাজিল কোচ তিতে চেয়েছিলেন, ম্যাচটা হলে অন্তত ইউরোপে হোক, তাতে ইউরোপের মৌসুমের মাঝপথে অযথা খেলোয়াড়দের লম্বা বিমানযাত্রার ধকল সইতে হবে না। কিন্তু ফিফা রাজি নয়। আগামী ২১ বা ২২ সেপ্টেম্বর সাও পাওলোতেই ম্যাচটি আয়োজনের নির্দেশ দিয়েছে।

কিন্তু এই ম্যাচ খেললে লাভ তো নেই-ই, বরং বিশ্বকাপের মূল পর্বের মাস দেড়েক আগে আয়োজিত এই ম্যাচে কেউ চোটে পড়লে সেটি ব্রাজিল-আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ প্রস্তুতিতেই ধাক্কা দেবে। তারওপর কদিন আগে জানা গেছে, এই ম্যাচে কেউ লাল কার্ড দেখলে সেটির নিষেধাজ্ঞাও কার্যকর হবে বিশ্বকাপে তাঁর দলের প্রথম ম্যাচে।

সব বিবেচনায় নিয়ে দুই দলের কারওই ম্যাচটি খেলতে আগ্রহ থাকার কথা নয়। আর্জেন্টাইন সংবাদমাধ্যমে গুঞ্জন, শেষ পর্যন্ত ম্যাচটি খেলতে বাধ্য হলে একেবারে আনকোরাদের মাঠে নামিয়ে দেবেন আর্জেন্টিনা কোচ লিওনেল স্কালোনি, বিশ্বকাপের দলের জন্য ভাবনায় থাকা কোনো খেলোয়াড়কে নামাবেন না। কিন্তু তার আগে ম্যাচটি খেলতে যাতে না হয়, সেটির শেষ চেষ্টাই করে যাচ্ছে আর্জেন্টিনা।

আর্জেন্টিনা জাতীয় দলের খবরাখবরের ক্ষেত্রে বিশ্বস্ত আর্জেন্টাইন সাংবাদিক গাস্তন এদুল টুইট করে জানিয়েছেন, সে লক্ষ্যেই ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা ম্যাচটি হতে না দিতে সিএএসের দরবারে গেছে আর্জেন্টিনা। সেখানে সিদ্ধান্ত আসার আগ পর্যন্ত ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা ম্যাচটি হবে না বলেই লিখেছেন এদুল।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat