পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া ও আরিচা-কাজীরহাট নৌ-রুটে ঈদে ঘরমুখী যাত্রীর ঢল নেমেছে। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া ও আরিচা-কাজীরহাট নৌ-রুটে ফেরি পারাপারের জন্য ঘাট এলাকায় আসা বাস, কোচ, ট্রাক ও প্রাইভেট কারসহ বিভিন্ন যানবাহনের যাত্রীর ঘাট এলাকায় উপচে পড়া ভিড় রয়েছে।
এ নৌ-রুটে বর্তমানে ২১টি ফেরি ও ২২টি লঞ্চ দিয়ে যাত্রী ও যানবাহন পারাপার করা হলেও বেশির ভাগ ফেরির যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে মাঝে মধ্যেই বিকল হয়ে মেরামতের জন্য ভাসমান কারখানা মধুমতিতে পড়ে থাকতে হচ্ছে। এ নৌ-রুটে চলাচলরত ফেরিগুলো বার বার বিকল হয়ে পড়ায় ফেরি স্বল্পতা দেখা দেয়। ফলে ফেরি পারাপার যাত্রীদেরকে ঘাট এলাকায় এসে যানজটে পড়ে।
কিন্তু পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌ-রুটে নদীতে স্রোত না থাকলে স্বাভাবিক সময়ে ফেরি পারাপার হতে সময় লাগে মাত্র ২৫ থেকে ৩০ মিনিট। প্রায় আধা ঘণ্টা সময়ের নৌ-রুট পাড়ি দিতে নদীতে স্রোতের কারণে সময় লাগছে ৪৫-৫০ মিনিট। এছাড়া গাবতলী থেকে শুরু করে মহাসড়কের সাভার, আমিনবাজার, নবীনগর ও ধামরাইসহ বিভিন্ন স্থানে যানজটের কারণে ধীরগতিতে যানবাহন চালিয়ে আসতে হচ্ছে বলে বাসচালকরা জানিয়েছেন।
শনিবার সকালে সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে। আপনদের সাথে ঈদের আনন্দ উপভোগ করতে যাত্রীরা কয়েক দিন ধরে বাড়ি ফেরা শুরু করলেও আজ সকাল থেকে লঞ্চ ও ফেরিতে যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড় ছিল।
আরিচা অফিসের বিআইডব্লিউটি সূত্রে জানা গেছে, এ নৌ-রুটে চলাচলরত বেশিরভাগ ফেরি পুরোনো। এ কারণে প্রতিদিনই প্রায় দু-একটি ফেরি যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে বিকল হয়ে পাটুরিয়া ভাসমান কারখানা মধুমতিতে পড়ে থাকতে হয়। বর্তমানে এ নৌ-রুটে ২১টি ফেরি দিয়ে যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে।
আরিচা অফিসের বিআইডব্লিউটিসির ডিজিএম খালেদ নেওয়াজ জানান, এ নৌ-রুটে বর্তমানে ২১টি ফেরি দিয়ে যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে। ঈদে ঘরমুখো যাত্রীদের কারণে বিভিন্ন যানবাহনের চাপ বৃদ্ধি পাওয়ায় আরিচা ঘাট এরাকায় এ যানজটের সৃষ্টি হয়।
এ জাতীয় আরো খবর..