×
  • প্রকাশিত : ২০২২-০৭-০৫
  • ৬৯ বার পঠিত
স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালের ৫ জুলাই বঙ্গবন্ধু সরকার এক গেজেট বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বোর্ড অব ইউনানী অ্যান্ড আয়ুর্বেদিক সিস্টেম অব মেডিসিনকে স্থাপন করার জন্য ১২ সদস্য একটি কমিটি ঘোষণা করে। ওই কমিটির মাধ্যমে এদেশে আয়ুর্বেদ ও ইউনানী চিকিৎসা পদ্ধতি আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করে। তাই দিনটির গুরুত্ব বিবেচনা করে আয়ুর্বেদ ও ইউনানী চিকিৎসাকে স্বমর্যাদায় পুনঃস্থাপনের লক্ষ্যে ৫ জুলাইকে জাতীয় আয়ুর্বেদ ও ইউনানী দিবস ঘোষণার দাবি জানিয়েছে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন (প্রাচি)।

আজ মঙ্গলবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর রুনি মিলনায়তনে এক মতবিনিময় সভায় এই দাবি জানানো হয়।

সভায় সভাপতির বক্তব্যে সংগঠনের উপদেষ্টা ড. অধ্যাপক আনিসুজ্জামান বলেন, আয়ুর্বেদিক ও ইউনানী প্রাচীনকাল থেকে চিকিৎসা ক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা রাখছে। আমাদের সরকার প্রধান শেখ হাসিনা আয়ুর্বেদিক ও ইউনানী চিকিৎসা সম্পর্কে অবগত ও আন্তরিক। তড়িঘড়ি করে কোনো কিছুই শুভকর হয় না। আমরা প্রত্যাশা করি তিনি (প্রধানমন্ত্রী) অতি দ্রুত সময়ের মধ্যেই আয়ুর্বেদ ও ইউনানী চিকিৎসা সংক্রান্ত সার্বিক বিষয়ে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন এবং গুরুত্ব বিবেচনায় ৫ জুলাইকে আয়ুর্বেদ ও ইউনানী দিবস হিসেবে ঘোষণা দিবেন।
মূল বক্তব্যে প্রাচি’র শিক্ষা ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক মোখলেছুর রহমান বলেন, রাষ্ট্রের কাছে সার্বভৌম জনগণ যে কীভাবে জিম্মি হতে পারে তা সম্ভবত বাংলাদেশের আয়ুর্বেদ ও ইউনানী অবস্থা দেখলে বুঝা যায়। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় এই অবস্থায় আয়ুর্বেদ ও ইউনানী অবস্থা দ্রুত পরিবর্তন না করলে আগামীতে জনস্বাস্থ্য হুমকির মূখে পড়বে। অবিলম্বে জাতীয়ভাবে মেডিসিনাল প্ল্যান্ট বোর্ড গঠন ও হারবাল গার্ডেনগুলোকে জার্মপ্লাজম সেন্টারের রূপান্তর করে ঔষধি উদ্ভিদ জগতকে রক্ষার দাবি জানান তিনি।

সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ শফিকুর রহমানের পরিচালনায় সভায় আরো বক্তৃতা করেন প্রাচি’র কো চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ বোর্ড অব ইউনানী এন্ড আয়ুর্বেদিক সিস্টেম অব মেডিসিনের বোর্ডসভার সদস্য আব্দুর রহমান, বোর্ডসভার সদস্য আযুর্বেদ চিকিৎসক মোতালেব মতিন, ইউনানী চিকিৎসক কামরুজ্জামান, ইউনানী চিকিৎসক এম এ করিম সিদ্দিকি, ইউনানী চিকিৎসক কালাম পাটোয়ারী, নুর মজিদ আয়ুর্বেদ কলেজের অধ্যক্ষ মো. মামুন, ইউনানী চিকিৎসক রীতা মজুমদার প্রমূখ।  

সভায় বক্তারা বলেন, জাতীয় আয়ুর্বেদ ও ইউনানী দিবস ঘোষণা এখন সময়ের দাবি। এছাড়া অনুপ্রান এবং সহপান সম্বলিত ঔষধ প্রস্তুত ও প্রয়োগ করার অধিকার প্রত্যেক আয়ুর্বেদ এবং ইউনানী চিকিৎসকের সহজাত অধিকার। এটি দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থাকেও উন্নত করতে ভূমিকা রাখবে। আয়ুর্বেদ ও ইউনানী চিকিৎসকদের যে কোন ধরণের হয়রানি বন্ধের দাবি জানান তারা।

প্রসঙ্গত, ‘প্রাচি’ দেশজ ও চিরায়ত চিকিৎসার মাধ্যমে জীবনমান উন্নয়ন নিয়ে কাজ করছে। সংস্থাটি ৫ জুলাইকে জাতীয় আয়ুর্বেদ ও ইউনানী দিবস হিসেবে পালন করে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat