×
  • প্রকাশিত : ২০২২-০৭-০৪
  • ৩০ বার পঠিত
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নারী-পুরুষের বৈষম্য দূর করেছেন। প্রতিমন্ত্রী আজ সোমবার সিংড়া গোল-ই-আফরোজ সরকারি কলেজ মাঠে বাংলাদেশ যুব মহিলা লীগ সিংড়া উপজেলা এবং সিংড়া পৌরসভা শাখার ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্য প্রদানকালে এ কথা বলেন।

বাংলাদেশ যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপিকা অপু উকিল সম্মেলনের উদ্বোধন করেন। সিংড়া উপজেলা যুব মহিলা লীগের সভাপতি মানসী ভট্টাচার্য সভাপ্রধান ছিলেন।

প্রতিমন্ত্রী পলক বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বৈষম্যমুক্ত সুখী-সমৃদ্ধ সোনার বাংলা গড়তে চেয়েছিলেন। তিনি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কন্যাশিশুদের পড়াশোনা অবৈতনিক করে দেন।

বঙ্গবন্ধুর পদাঙ্ক অনুসরণ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নারীদের ৬০ শতাংশ কোটা প্রবর্তন করেন। প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকতার সুযোগ তৈরির ফলে কন্যাসন্তান এখন আর মা-বাবার বোঝা নয়। এখন আর কন্যাসন্তানকে পড়াশোনা না করিয়ে ঘরে বসে রেখে বিয়ের প্রস্তুতির জন্য যৌতুকের ব্যবস্থা করতে হয় না। প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির ফলে কন্যাসন্তান এখন স্কুলে যায় এবং এই ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে সমাজের দুষ্টু ক্ষত যৌতুক দূর হয়েছে। তিনি নারীদের সম্মান, মর্যাদা এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী নারীর ক্ষমতায়নের পাশাপাশি অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জনে বিভিন্ন পদক্ষেপ বাস্তবায়ন করেছেন। ২০০৮ সালে তিনি প্রযুক্তিনির্ভর ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের ঘোষণা দেন। এই প্ল্যাটফর্ম নারীদের কর্মসংস্থান এবং তাদের মধ্য থেকে উদ্যোক্তা তৈরি করে অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে নারীদের স্বাবলম্বী হওয়ার সুযোগ তৈরি করে দিয়েছে। সারা দেশে সাড়ে আট হাজার ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার তৈরি করে এক কোটি মানুষকে স্বল্প মূল্যে অনায়াসে দুর্নীতিমুক্ত নাগরিক সেবা প্রদান করা হচ্ছে। প্রতিটি ডিজিটাল সেন্টারে একজন করে নারী উদ্যোক্তা কাজ করে যাচ্ছেন। ই-কমার্সে তিন লাখ নারী উদ্যোক্তা কাজ করছেন।

পলক বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশে নারীদের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জনের লক্ষ্যে সারা দেশে দুই হাজার নারী ই-কমার্স উদ্যোক্তাকে ৫০ হাজার টাকা করে অনুদান প্রদান করা হবে অচিরেই। প্রধানমন্ত্রীর দিকনির্দেশনায় ‘হার পাওয়ার’ নামে ২৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে ২৫ হাজার নারী উদ্যোক্তা তৈরির পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। এই প্রকল্পে নারী উদ্যোক্তারা তাদের শক্তি, মেধা ও প্রযুক্তি ব্যবহার করে ফ্রিল্যান্সার, ই-কমার্স উদ্যোক্তা, কল-সেন্টার এজেন্ট এবং মেইনটেন্যান্স ইঞ্জিনিয়ার হবেন।

বিগত ১৩ বছরে ৩৫০ কিলোমিটার সড়ক নির্মাণসহ বিভিন্ন উন্নয়নকাজ বাস্তবায়নের বর্ণনা দিয়ে পলক বলেন, অভূতপূর্ব এই উন্নয়ন ৫০ বছরের উন্নয়নকে ছাড়িয়ে গেছে। আগামী দুই বছরের মধ্যে ৩০০ কোটি টাকা ব্যয়ে সিংড়াতে নির্মাণাধীন হাই-টেক পার্ক, শেখ কামাল ট্রেনিং অ্যান্ড ইনকিউবেশন সেন্টার, টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টার এবং টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের নির্মাণকাজ শেষ হয়ে ২০ হাজার তরুণ-তরুণীর কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat