হজ পালনে রবিবার (৪ জুলাই) পর্যন্ত বাংলাদেশ থেকে সৌদি আরব পৌঁছেছেন ৫৬ হাজার ৯৫২ জন। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি হজে গেছেন গৃহিণীরা। এরপর রয়েছেন ব্যবসায়ী, চাকরিজীবী ও কৃষিজীবীসহ বিভিন্ন পেশার মানুষ। রবিবার (৩ জুলাই) ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের বুলেটিনে হজযাত্রীদের জনতাত্ত্বিক পরিসংখ্যান থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, সবচেয়ে বেশি হজে গেছেন গৃহিণী ২৯ দশমিক ৬০ শতাংশ। বিভিন্ন পেশার হজযাত্রীদের মধ্যে ব্যবসায়ী ২৬ দশমিক ১৮ শতাংশ, চাকরিজীবী ১৬ দশমিক ২৫ শতাংশ, কৃষিজীবী ৮ দশমিক ৫২ শতাংশ এবং অবসরপ্রাপ্ত ব্যক্তি রয়েছেন ৪ দশমিক ৯৮ শতাংশ রয়েছেন।
এছাড়া হজযাত্রীদের বয়সভিত্তিক শ্রেণিবিন্যাসে দেখা গেছে, ৬০ বছরের বেশি বয়সী রয়েছেন ২১ দশমিক ৫৮ শতাংশ, ৪১-৬০ বছর বয়স ৬৫ দশমিক ৮২ শতাংশ, ১৮-৪০ বয়সী ১২ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ, ১৮ বছরের কম বয়সী রয়েছে শূন্য দশমিক ৫৬ শতাংশ। এদিকে হজযাত্রীদের মধ্যে পুরুষ রয়েছেন ৬৫ শতাংশ ও নারী ৩৫ শতাংশ।
এদিকে আট বিভাগের মধ্যে ঢাকা বিভাগের হজযাত্রী সবচেয়ে বেশি। এ বিভাগের হজযাত্রী ৩৭ শতাংশ। এছাড়া চট্টগ্রামের ১৮ শতাংশ, রাজশাহীর ১৮ শতাংশ, খুলনার ৭ শতাংশ, রংপুরের ৯ শতাংশ, ময়মনসিংহের ৬ শতাংশ, বরিশালের ৩ শতাংশ ও সিলেটের ২ শতাংশ রয়েছে।
বাংলাদেশি হজযাত্রীদের মধ্যে এখন পর্যন্ত সাতজন পুরুষ ও তিনজন নারীসহ মোট ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। তারা হলেন ঢাকার বিউটি বেগম, রংপুরের পীরগাছার আবদুল জলির খান, কুমিল্লা আদর্শ সদরের ধনপুরের মোছা. রামুজা বেগম, জয়পুরহাট সদরের মো. হেলাল উদ্দিন মোল্লা, নোয়াখালী জেলার নুরুল আমিন, চাঁপাইনবাবগঞ্জের মো. জাহাঙ্গীর কবির, টাঙ্গাইলের মো. আব্দুল গফুর মিয়া, তপন খন্দকার, মো. রফিকুল ইসলাম এবং সর্বশেষ রংপুরের মো. খয়বর হোসেন। এর মধ্যে মক্কায় ১০ জন ও মদিনায় দুজন হজ যাত্রী মারা গেছেন।
সৌদি আরবে চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ৮ জুলাই হজ অনুষ্ঠিত হবে। এবার সরকারি ব্যবস্থাপনায় হজযাত্রীর কোটা চার হাজার এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনার কোটা ৫৩ হাজার ৫৮৫। পরবর্তীতে কোটা বাড়িয়ে বাংলাদেশ থেকে অতিরিক্ত দুই হাজার ৪২৫ হজযাত্রীকে সুযোগ দেওয়া হয়। হজযাত্রীদের সৌদি আরবে যাওয়ার ফ্লাইট গত ৫ জুন শুরু হয়েছে। সৌদি আরবে যাত্রার শেষ ফ্লাইট ৫ জুলাই। হজ শেষে ফিরতি ফ্লাইট শুরু হবে আগামী ১৪ জুলাই। ফিরতি ফ্লাইট শেষ হবে ৪ আগস্ট।
এ জাতীয় আরো খবর..