×
  • প্রকাশিত : ২০২২-০৭-০৩
  • ৬৫ বার পঠিত
অনুমোদিত এলাকার বাইরে মোটরসাইকেল রাইড শেয়ারিং করা যাবে না এবং পবিত্র ঈদুল আজহার আগের তিন দিন, ঈদের দিন এবং ঈদের পরের তিন দিন সারা দেশের মহাসড়কে যৌক্তিক কারণ ছাড়া মোটরসাইকেল চালানো যাবে না। পাশাপাশি এক জেলায় নিবন্ধিত মোটরসাইকেল অন্য জেলায় চালানো যাবে না। তবে যৌক্তিক ও অনিবার্য প্রয়োজনে পুলিশের অনুমতি নিয়ে মোটরসাইকেল চালানো যাবে।

নিত্যপণ্য, কাঁচামাল, ওষুধ, জ্বালানি তেল, গার্মেন্ট সামগ্রী, রপ্তানি পণ্য, পচনশীল দ্রব্য, পশুবাহী ট্রাক ছাড়া ভারী পণ্যবাহী ট্রাক, কাভার্ড ভ্যান ও লরি ঈদের আগের তিন দিন, ঈদের দিন এবং ঈদের পরের তিন দিন সারা দেশের মহাসড়কে চলাচল নিষিদ্ধ।

এ নির্দেশনা অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
আজ রবিবার সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ঈদ যাত্রা নিরাপদ ও নির্বিঘ্ন করার লক্ষ্যে অনুষ্ঠিত সভায় এসব সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।  

এতে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, মহাসড়কের ওপরে পশুর হাট  বসানো যাবে না। এ সময় তিনি ফিটনেসবিহীন গাড়িতে কোরবানির পশু পরিবহন না করার জন্য পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের অনুরোধ জানান। সেই সঙ্গে সিএনজি ফিলিং স্টেশন সার্বক্ষণিক খোলা রাখার বিষয়ে উদ্যোগ নিতেও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ জানান মন্ত্রী। পোশাক শ্রমিকদের পর্যায়ক্রমে ছুটি দেওয়ার জন্য তিনি বিজিএমইএ এবং বিকেএমইএর  নেতৃবৃন্দের প্রতিও আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, পদ্মা সেতু চালু হওয়ায় অনেক পশুবাহী যানবাহন এ  পথে ঢাকায় আসবে। বিষয়টি বিবেচনায় রাখতে হবে। এ ছাড়া জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সড়কে যানবাহনের চাপ বাড়বে। এ চাপ মোকাবেলায় পদ্মা সেতু ও এক্সপ্রেসওয়ের টোল প্লাজাসহ বঙ্গবন্ধু সেতু, মেঘনা এবং গোমতী সেতুর টোল প্লাজায় বুথ সংখ্যা বাড়ানোর জন্য তিনি সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন। গণপরিবহনে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগ পেলে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্যও  সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন তিনি।

বৈঠক শেষে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী সাংবাদিকদের জানান, প্রয়োজন ছাড়া এক জেলার মোটরসাইকেল অন্য জেলায় যেতে পারবে না। জরুরি কারণে এক জেলা থেকে অন্য জেলায় যেতে হলে পুলিশের অনুমতি নিয়ে যাওয়া যাবে।  

তবে বৈঠক সূত্র কালের কণ্ঠকে বলছেন, ঈদে মহাসড়কে মোটরসাইকেল চলাচল বন্ধের বিষয়ে কোনো সুস্পষ্ট সিদ্ধান্ত হয়নি। বাস মালিক-শ্রমিক সংগঠনের পক্ষ থেকে ঈদে মহাসড়কে মোটরসাইকেল বন্ধের বিষয়ে জোরালো আলোচনা করা হলেও সরকারের পক্ষে থেকে বন্ধের সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়নি। তবে মোটরসাইকেলে ভাড়ায় যাত্রী পরিবহন বন্ধের কথা বলা হয়ছে। সেই সঙ্গে দূরপাল্লায় মোটরসাইকেল নিরুৎসাহিত করার কথা বলা হয়েছে। ঈদ প্রস্তুতি সভায় মোট ২১টি সুপারিশ কার্যকর করা হয়।

সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী এ কে এম মনির হোসেন পাঠান কালের কণ্ঠকে বলেন, ঈদে যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে যা কিছু করা দরকার সব বিষয়ে কমিটি একমত প্রকাশ করেছে। তবে সবচেয়ে বেশি আলোচনা হয়েছে মোটরসাইকেল নিয়ে। যদিও শেষ পর্যন্ত সুনির্দিষ্ট কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।  

তিনি বলেন, মোটরসাইকেলে দূরপাল্লায় যাত্রী পরিবহনে নিরুৎসাহিত করা হবে। কেউ যেন ঝুঁকি নিয়ে মহাসড়কে মোটরসাইকেল না চালান এবং গতি যেন নিয়ন্ত্রণে থাকে সে বিষয়ে খেয়াল রাখা হবে।  

বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, ঈদের আগের তিন দিন মহাসড়কে ট্রাক, কাভার্ড ভ্যান ও লরি চলাচল বন্ধ থাকবে। তবে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য পরিবহন করা হবে। সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে ঈদের সাত দিন আগে সব ধরনের চলমান সংস্কারকাজ শেষ করতে হবে। জাতীয় ও আঞ্চলিক মহাসড়ক এবং ঢাকার প্রবেশ ও বের হওয়ার মুখ যানজট মুক্ত রাখতে ট্রাফিক পুলিশকে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।  

মহাসড়কের পাশে পশুর হাট বসানো যাবে না। মহাসড়কের পাশের ভাসমান বাজার অপসারণ করতে হবে। বঙ্গবন্ধু, পদ্মা, মেঘনা ও গোমতী সেতুসহ সব টোল প্লাজা যানজটমুক্ত রাখতে সব টোল বুথ সচল রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পণ্য পরিবহনকারী যানে যাত্রী পরিবহন করা যাবে না।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat