বৈশ্বিক অতিমারি করোনার আরেকটা ঢেউ এসেছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, 'করোনাভাইরাস আমরা সফলভাবে মোকাবেলা করতে পেরেছি। সবাইকে টিকা দিতে পেরেছি। ডাব্লিউএইচওর নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা শতভাগ টিকা দিয়েছি। জীবন-জীবিকার সুরক্ষায় যতটুকু দেওয়ার তার সবটুকুই আমরা দিতে সক্ষম হয়েছি।
করোনা নতুনভাবে আবার দেখা দিয়েছে। সবাইকে বলব স্বাস্থ্য-সুরক্ষা মেনে চলতে। '
বুধবার জাতীয় সংসদে প্রস্তাবিত ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'করোনার সংকট কাটিয়ে এ পর্যন্ত ২৮টি প্রণোদনা প্যাকেজ চালু করেছি, যার মোট আর্থিক মূল্য এক লাখ ৮৭ হাজার ৬৬৯ কোটি টাকা। এই প্রণোদনা কার্যক্রম আমরা ৭১ দশমিক ৫৫ শাতাংশ বাস্তবায়ন করতে সক্ষম হয়েছি। এই প্রণোদনা চলমান থাকবে। আরেকটি সুখবর হলো, রপ্তানি খাত যাতে বাধাগ্রস্ত না হয় তার জন্য যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়ায় ৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের ওপর রপ্তানি করতে পেরেছি। অতিমারি মোকাবেলা করে ৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের ক্লাবে বাংলাদেশ যোগদান করেছে। '
'রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ আমাদের জন্য মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘা' বলেও মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, 'অতিমারি আমাদের অর্থনীতিতে ব্যাপক ক্ষতিসাধন করেছে। তবে আমরা এই ক্ষতি সামলে সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তোলার চেষ্টা করছি। সরকার কার্যকর ও সময়োপযোগী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। যেকোনো ধরনের বাধা আসুক না কেন তা মোকাবেলা করতে পারব। সেই বিশ্বাস আমাদের রয়েছে। ' করোনা অতিমারির সময়কালে সরকারে যে প্রণোদনা প্যাকেজ দিয়েছে তা চলমান থাকবে বলে জানান তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, মূল্যস্ফিতি নিয়ন্ত্রণে আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি। তাছাড়া প্রতিবেশী দেশগুলির সঙ্গে সমন্বয় রাখার জন্য ডলারের বিপরীতে টাকার মূল্যমান পুনঃনির্ধারণ করা হচ্ছে। এটা চলমান প্রক্রিয়া। বিলাসবহুল সামগ্রী আমদানি যাতে কম হয়, সে জন্য আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি।
সবার জন্য পেনশন বীমা চালুর কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, আমরা এ প্রক্রিয়ায় অনেক দূর এগিয়েছি। অর্থমন্ত্রী আগামী অর্থবছরে সার্বজনীন পেনশন চালুর ঘোষণা দিয়েছেন। মন্ত্রীসভার সর্বশেষ বৈঠকে এ আইনের অনুমোদন দিয়েছি। খুব শিগরিই সংসদে আইনটি উঠবে। আমরা তা কার্যকর করতে পারব। তাতে যারা পেনশন পাবেন, তাদের জীবনটা সুরক্ষিত হবে। বিস্তারিত আইনে আছে।
এ জাতীয় আরো খবর..