অবিলম্বে মজুরি বোর্ড গঠন করে গার্মেন্ট শ্রমিকদের ন্যূনতম বেসিক মজুরি ২০ হাজার টাকা ঘোষণা করার দাবি জানিয়েছে গার্মেন্ট শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র (গার্মেন্ট টিইউসি)। একই সঙ্গে চলতি মাস থেকে অন্তত ৫০ শতাংশ মহার্ঘ ভাতা চালু এবং ঈদের আগে পূর্ণাঙ্গ বোনাস ও সব বকেয়া পরিশোধের দাবি জানানো হয়।
আজ শুক্রবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ সমাবেশে সংগঠনের নেতারা এসব দাবি উত্থাপন করেন।
গার্মেন্ট টিইউসির সভাপতি অ্যাডভোকেট মন্টু ঘোষের সভাপতিত্বে এবং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেনের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত শ্রমিক সমাবেশে বক্তব্য দেন সংগঠনের কার্যকরী সভাপতি কাজী রুহুল আমীন, সাধারণ সম্পাদক জলি তালুকদার, কেন্দ্রীয় নেতা সাদেকুর রহমান শামীম, জিয়াউল কবির খোকন, কে এম মিন্টু, আজিজুল ইসলাম, বাড্ডা-রামপুরা-খিলগাঁও আঞ্চলিক কমিটির নেতা শাহীন আলম প্রমুখ।
সমাবেশে নেতারা বলেন, দ্রব্যমূল্যের চরম ঊর্ধ্বগতি ও সীমাহীন ব্যয় বৃদ্ধির মুখে দাঁড়িয়ে গার্মেন্ট শ্রমিকদের পক্ষে কোনোভাবেই জীবনধারণ করা সম্ভব না। এই পরিস্থিতিতে গার্মেন্ট শ্রমিকরা বিভিন্ন শিল্প এলাকায় স্বতঃস্ফূর্তভাবে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ করছে। শ্রমিকদের এই চলমান আন্দোলন দমনে সরকার গ্রেপ্তার ও নির্যাতনের পথ বেছে নিয়েছে। এই দমন-পীড়ন দিয়ে শিল্পের সুষ্ঠু পরিবেশ রক্ষা করা যাবে না। দমন-পীড়ন বন্ধের দাবি জানান তারা।
নেতারা বলেন, দ্রব্যমূল্যের চরম ঊর্ধ্বগতি ও বাড়ি ভাড়াসহ জীবনযাত্রার ব্যয় কয়েকগুণ বৃদ্ধি পাওয়ায় গত প্রায় দুই বছর ধরে গার্মেন্ট শ্রমিকরা মজুরি বৃদ্ধির জন্য আন্দোলন করে আসছে। কিন্তু শ্রমিকদের বাঁচার মতো মজুরির দাবির প্রতি সরকার ও মালিকপক্ষ কর্ণপাত করছে না। আন্দোলন দমনের পথ পরিহার করে শ্রমিকদের ন্যায্য দাবি মেনে নেওয়ার মধ্য দিয়েই শিল্পে উৎপাদনের সুষ্ঠু পরিবেশ রক্ষা করতে হবে। নতুন সংকট সৃষ্টির আগেই সরকারি সংস্থাগুলোকে সক্রিয় ভূমিকা গ্রহণের আহ্বান জানান তারা।
সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল কদম ফুল ফোয়ারা ও তোপখানা এলাকা ঘুরে পুরানা পল্টন মোড়ে গিয়ে শেষ হয়।
এ জাতীয় আরো খবর..