সোনালী ব্যাংকের ১৩৫ কোটি টাকা আত্মসাতের মামলায় হলমার্ক গ্রুপের মহাব্যবস্থাপক তুষার আহমেদকে জামিন দেননি হাইকোর্ট। তবে বিচারিক আদালতকে মামলাটি ছয় মাসের মধ্যে নিষ্পত্তির নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। তুষার আহমেদের জামিন আবেদন নিষ্পত্তি করে আজ বৃহস্পতিবার এ আদেশ দেন বিচারপতি এ এস এম আব্দুল মোবিন ও বিচারপতি মো. আতোয়ার রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী শাহদীন মালিক।
রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সুজিত চ্যাটার্জি বাপ্পী।
পরে আইন কর্মকর্তা বাপ্পী কালের কণ্ঠকে বলেন, “হলমার্কের তুষার আহমেদকে জামিনা দিয়ে তার বিরুদ্ধে এই মামলাটি ছয় মাসের মধ্যে নিষ্পত্তির নির্দেশ দিয়েছেন। সেই সঙ্গে এটাও বলে দিয়েছেন, এই সময়ের মেধ্যে মামলাটির বিচারকাজ শেষ না হয়, আর তখন যদি তুষার আহমেদ জামিন চান তবে বিচারিক আদালত যেন তার জামিন আবেদনটি বিবেচনা করেন। ”
সোনালী ব্যাংকের হোটেল শেরাটন শাখা থেকে ১৩৫ কোটি ৪৪ লক্ষ ৯ হাজার ৪৮৪ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদকের) প্রধান কার্যারলয়ের সহকারী পরিচালক মো. নাজমুচ্ছয়াদাত ২০১২ সালের ৪ অক্টোবর রমনা থানায় এ মামলা করেন। হলমার্ক গ্রুপের ব্যবস্থাপপনা পরিচালক মো. তানভীর মাহমুদ ওরফে তফছীর, চেয়ারম্যান জেসমিন ইসলাম ও মহাব্যবস্থাপক তুষার আহমেদ ও সোনালী ব্যাংকের বিভিন্ন পর্যাটয়ের কর্মকর্তাসহ এ মামলায় ১৮ জনকে আসামি করা হয়।
বিদেশ থেকে আমদানি করা পণ্যের মূল্য পরিশোধের নামে হলমার্ক গ্রুপের ১১টি প্রতিষ্ঠানের নামে ভুয়া এলসির (লেটার অব ক্রেডিট) খুলে ২০১১ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর থেকে ২০১২ সালের ৩০ এপ্রিল পর্যরন্ত সময়ে এই বিপুল পরিমাণ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয় আসামিদের বিরুদ্ধে। তাদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪০৬, ৪০৯, ৪২০, ১০৯ ধারার সঙ্গে ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ও অর্থ পাচার প্রতিরোধ আইন, ২০১২-এর ৪(২) ধারায় অভিযোগ আনা হয়।
এ মামলায় তুষারকে ২০১২ সালের ৮ অক্টোবর গ্রেপ্তার করা হয়। তদন্ত শেষে ২০১৩ সালের ৬ অক্টোবর ১৭ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। এরপর ২০১৬ সলের ২৭ মার্চ আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন বিচারিতক আদালত। ঢাকা বিশেষ জজ আদালত-১ এ বিচারাধীন মামলাটি সাক্ষ্য গ্রহনের পর্যায়ে আছে। ওই আদালতে জামিন না পেয়ে গত ডিসেম্বরে হাইকোর্ট এ জামিন করেছিলেন তুষার আহমেদ।
এ জাতীয় আরো খবর..