×
  • প্রকাশিত : ২০২২-০৬-০৯
  • ৬৭ বার পঠিত
চট্টগ্রামভিত্তিক রতনপুর স্টিল রি-রোলিং মিলস লিমিডেটের (আরএসআরএম) ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাকসুদুর রহমানের জামিন মঞ্জুর করেছেন চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম জুয়েল দেব। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে শুনানির পর আদালত জামিন আদেশ দেন। এর আগে বুধবার ঢাকার গুলশান থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করেছিল র‌্যাব।

বুধবার রাতে গুলশান-২ নম্বর সেকশনের ১২২ নম্বর সড়কের একটি বাসা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তারের তথ্য জানান র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।

তিনি বলেন, শীর্ষ ঋণখেলাপির বিরুদ্ধে একাধিক মামলা করেছে ব্যাংকগুলো। এর মধ্যে একটি মামলায় আদালত তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। সেই পরোয়ানামূলে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারের পরদিন দুপুরে চেক প্রতারণার মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাঁকে আদালতে সোপর্দ করা হয়। এ সময় তাঁর আইনজীবীরা জামিন আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত আসামির জামিন মঞ্জুর করেন।

আরএসআরএম গ্রুপের কাছ থেকে বর্তমানে ১০টি ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠান প্রায় দুই হাজার ২০০ কোটি টাকা পাওনা রয়েছে। ঋণখেলাপি হওয়ায় প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে ২৫টি মামলা হয়েছে।

এই গ্রুপের মালিকদের বিরুদ্ধে সর্বশেষ মামলাটি যুক্ত হয় গত রবিবার। ওই দিন মামলা করে সোনালী ব্যাংক। ওই ব্যাংকের লালদীঘির পাড় শাখা ২১৩ কোটি টাকা পাওনা আদায়ে অর্থঋণ আদালতে মামলাটি দায়ের করে। ওই মামলায় মেসার্স রতনপুর স্টিল রি-রোলিং মিলসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাকসুদুর রহমান, পরিচালক সামছুন্নাহার বেগম, মিজানুর রহমান, মারজানুর রহমান ও ইউনুছ ভুঁঞাকে আসামি করা হয়।

এ বিষয়ে সোনালী ব্যাংকের মামলার পরিচালনাকারী আইনজীব আবুল হাসান শাহাবুদ্দিন বলেন, দীর্ঘদিনেও ঋণের টাকা শোধ না করায় রতনপুর স্টিলের কর্ণধারদের বিরুদ্ধে আগে চারটি মামলা হয়েছিল। প্রতিষ্ঠানটির সম্পত্তি নিলামে তুলেও উপযুক্ত কোনো দরদাতা পাওয়া যায়নি। ফলে প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে অর্থঋণ আদালতে মামলা করা হয়।

সোনালী ব্যাংকের ডিজিএম ও লালদীঘি করপোরেট শাখার প্রধান মো. ইয়াকুব মজুমদার বলেন, গ্রুপটির দুটি প্রতিষ্ঠানের কাছে এ পর্যন্ত ৬৫০ কোটি টাকা পাওনা রয়েছে সোনালী ব্যাংকের। এই পাওনার বিপরীতে গ্রুপটির বিরুদ্ধে এনআই অ্যাক্টে ও অর্থঋণ আদালতে ১৭টি মামলা করা হয়েছে।

এর আগে গত ২৫ জানুয়ারি মাকসুদুর রহমানের বিরুদ্ধে দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিলেন আদালত। জনতা ব্যাংকের দায়ের করা মামলায় চট্টগ্রামের অর্থঋণ আদালত এই আদেশ দেন। ওই গ্রুপের বিরুদ্ধে জনতা ব্যাংক মামলা করেছে আটটি।

প্রসঙ্গত, দীর্ঘদিনের বিদ্যুৎ বিল বকেয়া থাকা এবং ওয়ার্কিং মূলধন না থাকায় ২০২০ সালের ১২ ডিসেম্বর গ্রুপটির দুটি কারখানায় উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়।

আদালত সূত্র থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, রতনপুর গ্রুপের কাছে জনতা ব্যাংক এক হাজার ২০০ কোটি টাকা, সোনালী ব্যাংক ৬৫০ কোটি টাকা, মার্কেন্টাইল ব্যাংক ১৫০ কোটি টাকা, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক ৫৬ কোটি, ট্রাস্ট ব্যাংক ৬০ কোটি টাকা, লংকাবাংলা ফাইন্যান্স ৫৫ কোটি টাকা ও প্রাইম ফাইন্যান্স ২৪ কোটি টাকা পাওনা রয়েছে। এসব টাকা এখন আটকে পড়েছে গ্রুপটির কাছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat