ভারতের পশ্চিমবঙ্গে গ্রেপ্তার প্রশান্ত কুমার হালদারকে (পি কে হালদার) দেশে ফিরিয়ে আনতে দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশ। গত সপ্তাহে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে এ চিঠি পাঠানো হয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ভারতে গ্রেপ্তারের খবর পাওয়ার পরপরই বাংলাদেশের পক্ষ থেকে পি কে হালদারকে ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নেওয়া হয়। এই উদ্যোগের অংশ হিসেবে পি কে হালদারের বিরুদ্ধে করা মামলার নথি সংশ্লিষ্ট দপ্তর থেকে নেয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
পরে সেসব নথিসহ তাঁকে ফেরত পাঠানোর প্রস্তাব পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। এখন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তাদের প্রতি-উত্তরের অপেক্ষায় রয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান গতকাল মঙ্গলবার কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘তাঁকে (পি কে হালদার) ফেরত আনার জন্য ভারতে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। আশা করছি তাঁকে ফেরত পাওয়া যাবে। ’
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা কালের কণ্ঠকে জানান, ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের মধ্যে চুক্তি রয়েছে। সেই চুক্তির আওতায় নারায়ণগঞ্জের সাত খুনের প্রধান আসামি নূর হোসেনকে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়। একই আইনের আওতায় ভারতের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন উলফার শীর্ষ নেতা অনুপ চেটিয়াকে ফেরত পাঠায় বাংলাদেশ।
১৪ দিনের রিমান্ডে পি কে
পশ্চিমবঙ্গে পি কে হালদারকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আবার ১৪ দিনের কারা হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। ভারতের সংবাদমাধ্যমগুলোর খবর অনুযায়ী, গতকাল পি কে হালদারকে কলকাতার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটের বিশেষ আদালতে তোলা হয়। আদালত জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১৪ দিনের হেফাজত মঞ্জুর করেন।
পি কে হালদারকে এর আগে প্রথম দফায় ১০ দিন এবং দ্বিতীয় দফায় ১২ দিন কারা হেফাজতে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। দ্বিতীয় দফার হেফাজত শেষ হলে গতকাল তাঁকে আদালতে তোলা হয়।
ভারতের কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) গতকাল আদালতকে জানায়, পি কে হালদার ও তাঁর সহযোগীদের ৮৮টি ব্যাংক হিসাবের তথ্য পাওয়া গেছে। এ ছাড়া তাঁদের ৩০০ কোটি টাকার সম্পদের খোঁজ পাওয়া গেছে।
বাংলাদেশের এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং অর্থপাচার মামলার পলাতক আসামি পি কে হালদার। তাঁর বিরুদ্ধে বাংলাদেশের চারটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা লুটপাট ও পাচারের অভিযোগে অন্তত ৩৫টি মামলা রয়েছে। গত ১৪ মে পশ্চিমবঙ্গের উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার অশোকনগরের একটি বাড়ি থেকে পি কে হালদারকে গ্রেপ্তার করে ইডি। এ সময় তাঁর পাঁচ সহযোগীকেও গ্রেপ্তার করা হয়।
এ জাতীয় আরো খবর..