বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর ‘সাধারণ আনসার মৌলিক প্রশিক্ষণ (পুরুষ) চতুর্থ ধাপ’-এর সমাপনী কুচকাওয়াজ আজ রবিবার গাজীপুরের সফিপুরে বাংলাদেশ আনসার ও ভিডিপি একাডেমিতে অনুষ্ঠিত হয়।
কুচকাওয়াজে প্রধান অতিথি হিসেবে সালাম গ্রহণ করেন এ বাহিনীর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মিজানুর রহমান শামীম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাহিনীর অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল খোন্দকার ফরিদ হাসান। আরো উপস্থিত ছিলেন আনসার ও ভিডিপি একাডেমির কমান্ড্যান্ট অতিরিক্ত মহাপরিচালক মো. সামছুল আলম, উপ-মহাপরিচালক (প্রশাসন) কর্নেল মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, উপ-মহাপরিচালক (অপারেশনস) এ কে এম জিয়াউল আলম ও বাহিনীর অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।
নিজ নিজ ধর্মগ্রন্থের দিকে হাত তুলে দৃঢ় মনোবলে বাংলাদেশের সংবিধানের প্রতি অটল থেকে দেশ ও দেশের মানুষের সেবায় নিজের জীবন উৎসর্গ করার শপথ গ্রহণ করে প্রশিক্ষণার্থীরা। তাদের মধ্য থেকে শ্রেষ্ঠ প্রশিক্ষার্থীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন প্রধান অতিথি। মোট এক হাজার ৯১ জন প্রশিক্ষণার্থীর মধ্যে ড্রিল-এ শ্রেষ্ঠত্বের পুরস্কার অর্জন করেন মলয় বালা, ফায়ারিং-এ সেরা আকরাম হোসেন আর সব মিলিয়ে চৌকস প্রশিক্ষণার্থীর পুরস্কার লাভ করেন হ্যামিলিন চাকমা।
বাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়, সাধারণ আনসাররা প্রশিক্ষণ শেষে অঙ্গীভূত হয়ে সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান যেমন-বিমানবন্দর, সমুদ্র বন্দর, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র, মাতারবাড়ি বিদ্যুৎ কেন্দ্র, কর্ণফুলী টানেল, জাতীয় সংসদ ভবন, মেট্রোরেল, পদ্মা বহুমুখী সেতু, হোটেল, মোটেল, ইপিজেডসহ গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানে দায়িত্ব পালন করেন।
বর্তমানে সারাদেশে সাড়ে চার হাজারেরও বেশি প্রতিষ্ঠানে প্রায় ৫৪ হাজার সাধারণ আনসার অঙ্গীভূত হয়ে দেশের জননিরাপত্তায় অবদান রেখে চলছেন। এছাড়া জাতীয় সংসদ নির্বাচনসহ স্থানীয় সরকারের সকল স্তরের নির্বাচন, বিভিন্ন ধর্মীয় উৎসব, ঈদ, দুর্গাপূজা, বিশ্ব ইজতেমা, বর্ষবরণ, শপিংমল, বাণিজ্য মেলা ও বইমেলা, রেল স্টেশন, ট্রাফিক কন্ট্রোল, কভিড-১৯ বিশেষায়িত হাসপাতালসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সাধারণ আনসার সদস্যরা জননিরাপত্তা ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব পালন করছে।
এ জাতীয় আরো খবর..