পাকিস্তান তাদের প্রথম পারমাণবিক পরীক্ষা চালিয়েছিল ১৯৯৮ সালের মে মাসে। যা এই অঞ্চলের জন্য মারাত্মক পরিণতি বয়ে আনে। এর ফলস্বরূপ চাঘাইয়ের মানুষ আজও নানা রোগে ভুগছে পাশাপাশি অন্যান্য বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন। এরই প্রতিবাদে ফ্রি বেলুচিস্তান মুভমেন্ট জার্মানি এবং ব্রিটেনে বিক্ষোভের আয়োজন করেছে। এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এএনআই।
বেলুচ ন্যাশনাল মুভমেন্ট, নেদারল্যান্ডস জোনও বেলুচিস্তানে পারমাণবিক পরীক্ষার বিরুদ্ধে প্রতিবাদের আয়োজন করেছে। বিক্ষোভকারীরা পারমাণবিক পরীক্ষার ফলাফল সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে প্রচারপত্র বিতরণ করেন। তারা প্ল্যাকার্ড এবং ব্যানারে এই অঞ্চলে পারমাণবিক বিকিরণের প্রভাব তুলে ধরেন।
বিক্ষোভকারীরা পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষার বিরুদ্ধে স্লোগান দেয়। পাকিস্তানের পারমাণবিক পরীক্ষার বিরুদ্ধে বিপুল সংখ্যক স্থানীয় মানুষ বেলুচিস্তানের জনগণের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করেছে।
বেলুচ ন্যাশনাল মুভমেন্টের পররাষ্ট্র সচিব হাম্মাল হায়দার বালোচ বলেছেন, পাকিস্তানের পারমাণবিক পরীক্ষার পর থেকেই চাগাই এবং আশেপাশের এলাকার সাধারণ মানুষ গুরুতর রোগে আক্রান্ত হয়েছে। মানুষ দীর্ঘস্থায়ী রোগে ভুগছে
তিনি আরও বলেন, “চাঘাইয়ের মানুষ দীর্ঘস্থায়ী রোগে ভুগছে। পারমাণবিক বিকিরণের কারণে এই অঞ্চলে ক্যান্সারের মতো অন্যান্য গুরুতর রোগের প্রকোপ বেশি হলে শিশুরা প্রতিবন্ধী হয়ে জন্মায়। ১৯৯৮ সাল থেকে এখন পর্যন্ত বেলুচিস্তানের মানুষ মারাত্মক রোগে আক্রান্ত হচ্ছে।”
মানবাধিকার কর্মী এবং বেলুচ ন্যাশনাল মুভমেন্টের সদস্য জামাল বেলুচ, বলেন, পাকিস্তানি পারমাণবিক পরীক্ষার ফলে বেলুচিস্তানে বেশ কিছু স্বাস্থ্য ঝুঁকির সৃষ্টি হয়েছে। আমরা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে আবেদন করছি যে তারা যেন পাকিস্তানের পারমাণবিক কর্মসূচি বন্ধ করে দেয়। পাকিস্তান একটি সন্ত্রাসী রাষ্ট্র, এবং পাকিস্তানের নিয়ন্ত্রণে থাকা প্রাণঘাতী পারমাণবিক বোমা সমগ্র বিশ্বের জন্য হুমকিস্বরূপ
এদিকে পাকিস্তানের পারমাণবিক পরীক্ষার রজত জয়ন্তী উদযাপনের একটি বার্তায়, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ বলেন, দিনটি ছিল 'দেশের সার্বভৌমত্ব এবং প্রতিরক্ষার বিষয়ে কোনো আপস নয়' একটি স্পষ্ট ঘোষণা এবং এটি একটি অনুস্মারক হিসাবে কাজ করেছে। প্রতিরক্ষা, সংহতি এবং জাতীয় স্বার্থ, তারা কোনো ত্যাগ থেকে পিছপা হবে না।
এ জাতীয় আরো খবর..