অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, বাজেট নিয়ে সরকার কোনো চাপ বোধ করছে না। সরকার যুদ্ধ (রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ) নিয়ে চাপ বোধ করছে। সরকার চায় যুদ্ধটি শেষ হোক।
বুধবার সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির ভার্চুয়াল বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
অর্থমন্ত্রী বলেন, সংকটের মধ্যে বাংলাদেশের অর্থনীতি অন্য দেশের চেয়ে ভালো চলছে। বাংলাদেশের অর্থনীতি বৈশ্বিক সংকটে যেভাবে এগিয়েছে সেটি সেরার উদাহরণ। দেশের আর্থিক খাতে কোনো দুর্বৃত্তায়ন নেই।
তিনি বলেন, কোভিডের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত অর্থনীতি এগিয়ে নিতে যখন সরকার কাজ করছে ঠিক তখন আবার যুদ্ধ শুরু হয়ে গেল। সেখানে একটা চাপ তৈরি হয়েছে। বাহ্যিক যে দুর্বলতাগুলো রয়েছে, সে সম্পর্কে প্রাক্কলন করা যায় না। যুদ্ধের কারণে সেটি করাও যাচ্ছে না। সব দেশকে এই পরিস্থিতি নিয়ে ভাবতে হচ্ছে।
বাজেটে সরকারি বা প্রকল্পের খরচ কমাতে কোনো নির্দেশনা থাকবে কিনা জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, বাজেটে যেগুলো যুক্ত করা দরকার, সেগুলো যুক্ত করা হবে।
দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির চাপ কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করবেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, বর্তমান যে অবস্থা, সেখান থেকে সুন্দরভাবে জনগণকে সঙ্গে নিয়েই সামনে এগোতে সরকার কাজ করছে। এখন মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণই সরকারের প্রধান চিন্তা।
অর্থমন্ত্রী বলেন, রেমিট্যান্স বেশি আসছে। রপ্তানি বেড়েছে। কোনো না কোনো চ্যালেঞ্জিং সময় থাকবেই। এগুলো একদিকে যেমন কঠোর, আরেক দিক থেকে এগুলো সুযোগ সৃষ্টি করে। এই সুযোগ কাজে লাগাতে হবে।
কৈলাশটিলায় শুরু হচ্ছে অষ্টম কুপ খননের কাজ: সিলেট গ্যাস ফিল্ড কোম্পানির কৈলাশটিলায় অষ্টম কূপ খননের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আজ সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে কৈলাশটিলা অষ্টম কূপের বিভিন্ন কেনাকাটার জন্য আটটি প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়েছে।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশের কোম্পানি ছাড়াও সিঙ্গাপুরের হেলিবার্টন ফার ইস্ট, সংযুক্ত আরব আমিরাতের আল মানসুরি পেট্রোলিয়াম, সুইজারল্যান্ডে নিবন্ধিত হেলিবার্টন ইন্টারন্যাশনাল, নেদারল্যান্ডসের পেনটেরা জিওকনসালটেন্ট, ভারতের গ্লোবাল ড্রিলিং ফ্লুয়িড অ্যান্ড কেমিক্যালস, চীনের চায়না পেট্রোলিয়াম লগিং এই প্রকল্পের বিভিন্ন অংশে কারিগরি কাজে যুক্ত থাকবে, যাতে মোট ব্যয় হবে ৩৩ কোটি ৭৯ লাখ ৬৭ হাজার ৮০৭ টাকা।
বৈঠকে জননিরাপত্তা বিভাগের অধীন ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারের (এনটিএমসি) জন্য ১৭২ কোটি ১৯ লাখ ৬৮ হাজার ৭৯৬ টাকায় ফ্রান্সের ইন্টারসেক থেকে জিও লোকেশন সিস্টেম ও সংশ্লিষ্ট সেবা কেনার অনুমোদন দেওয়া হয়।
এ জাতীয় আরো খবর..