নওগাঁ : বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে গত ২০ জুলাই দুপুরে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশগাছা থানার কলমেশ্বর বোর্ডবাজার বেলমন্ট টেইলার্সের সামনে রাস্তায় গুলিবিদ্ধ হন রায়হান আলী (১৮)। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে শহীদ তাজউদ্দিন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে মারা যায় রায়হান আলী।
শহীদ রায়হান নওগাঁর নিয়ামতপুর উপজেলার পানিশাইল গ্রামের মামুন সরদারের ছেলে। বর্তমানে মামুন সরদার রিকশা চালিয়ে সংসার চালান। এ ঘটনায় তিনি শেখ হাসিনা, ওবায়দুল কাদের ও সাধন চন্দ্র মজুমদারসহ ১৬৭জনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।
২০১৭ সালে জীবিকার তাগিদে নওগাঁর নিয়ামতপুর থেকে ঢাকায় পাড়ি জমান শহীদ রায়হান আলীর বাবা মামুন সরদার ও তার স্ত্রী রানী বেগম। ঢাকার গাজীপুর বোর্ডবাজার আল-হেরা পাম্প এলাকার কলমুস্বর গ্রামের মুক্তার বাসায় ভাড়া থাকতেন তারা। সেই সুবাধে বাসার মালিক মুক্তা ও তার ছেলে সোহাগের সাথে ভালো সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
এ সময় শহীদ রায়হান আলীর বাবা মামুন সরদার ইউনিক ডিজাইন নামে এক গার্মেন্টেসে চাকুরি করতেন। আর সেই সাথে তার স্ত্রী রানী বেগমও অন্য একটি গার্মেন্টেসে চাকুরি করতেন। দীর্ঘদিন বসবাস করার পর নওগাঁতে চলে আসেন। আর ছেলে শহীদ রায়হান আলীকে স্থানীয় বরেন্দ্র আলীয়া মাদ্রাসায় ভর্তি করে দেন।