×
  • প্রকাশিত : ২০২২-০৭-০৬
  • ৫১ বার পঠিত
বাংলাদেশের ষষ্ঠ, সপ্তম ও অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা এবং প্রেক্ষিত পরিকল্পনায় সুষম আঞ্চলিক উন্নয়নের ওপর গুরুত্ব আরোপ করা হলেও সরকারি পরিকল্পনা বাস্তবায়নের প্রধান হাতিয়ার বাজেটে, বিশেষ করে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে (এডিপি) অতীতে এর প্রতিফলন ঘটেনি এবং বর্তমানেও ঘটছে না।

এর ফলে পিছিয়ে পড়া অঞ্চলগুলোতে দারিদ্র্যহার বেড়েই চলেছে। এ থেকে উত্তরণের উপায় পর্যালোচনা করাই এ নিবন্ধের উদ্দেশ্য।

ষষ্ঠ পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় (২০১১-১৫) বলা হয়, দেশের বিভিন্ন প্রশাসনিক বিভাগের মধ্যে দারিদ্র্য হ্রাসের গতিতে তারতম্য ঘটেছে। উদাহরণস্বরূপ, ২০০০ থেকে ২০০৫ সালের মধ্যে বরিশাল, খুলনা ও রাজশাহী বিভাগে (সে সময় বর্তমান রংপুর বিভাগের জেলাগুলো রাজশাহী বিভাগের এবং বর্তমান ময়মনসিংহ বিভাগের জেলাগুলো ঢাকা বিভাগের অন্তর্ভুক্ত ছিল) দারিদ্র্যহার শুধু ধীর গতিতে হ্রাস পায়নি, বরং কোনো কোনো শ্রেণিতে (ক্যাটেগরি) দারিদ্র্যহার বেড়েছে। অন্য দিকে অন্য তিনটি বিভাগ-ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেটে দারিদ্র্যহার দ্রুত গতিতে হ্রাস পেয়েছে।

২০০৫ সালে সর্বোচ্চ তিনটি দরিদ্র বিভাগ বরিশাল, রাজশাহী ও খুলনায় দারিদ্র্যহার ছিল যথাক্রমে ৫২, ৫১ দশমিক ২ ও ৪৫ দশমিক ৭ শতাংশ। অন্য দিকে ঢাকা, সিলেট ও চট্টগ্রাম বিভাগে দারিদ্র্যহার ছিল যথাক্রমে ৩২, ৩৩ দশমিক ৮ ও ৩৪ শতাংশ (সূত্র : হাউজহোল্ড ইনকাম অ্যান্ড এক্সপেন্ডিউচার সার্ভে (হায়েস)-২০০৫)।

দেশের আঞ্চলিক বৈষম্য সমস্যা সমাধানের ওপর বিশেষ গুরুত্বারোপ করা হয় ষষ্ঠ পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় এবং এজন্য কিছু কৌশল নির্ধারণ করা হয়। এগুলোর মধ্যে ছিল-ক. পিছিয়ে পড়া অঞ্চল বা বিভাগগুলোর জন্য এডিপিতে একটি পৃথক তহবিল সংরক্ষণ এবং এ তহবিল থেকে রংপুর, রাজশাহী, খুলনা ও বরিশালের মতো পশ্চাৎপদ অঞ্চল বা বিভাগগুলোর উন্নয়নে বিনিয়োগ করা;

খ. উন্নয়ন প্রকল্প অনুমোদনকালে আঞ্চলিক বৈষম্য হ্রাসে অবদান রাখবে এমন প্রকল্পকে অগ্রাধিকার প্রদান করা; গ. পিছিয়ে থাকা অঞ্চলগুলোর অবকাঠামো উন্নয়ন; ঘ. কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য পিছিয়ে পড়া অঞ্চলগুলোয় শিল্পায়ন সম্প্রসারণ এবং এ জন্য উদ্যোক্তাদের বিশেষ আর্থিক সুবিধা প্রদান; ঙ. কৃষির এবং গ্রামীণ অর্থনীতির উন্নয়নে অবদান রাখতে পারে এমন কার‌্যাবলির সম্প্রসারণ করা;

চ. পশ্চাৎপদ অঞ্চলগুলোর শ্রমিকদের জন্য অধিক হারে প্রবাসে কাজের সুযোগ সৃষ্টি করা এবং এজন্য এসব অঞ্চলের শ্রমিকদের দক্ষতা উন্নয়নে টেকনিক্যাল ও ভোকেশনাল ট্রেনিং ইনস্টিটিউট স্থাপন করা; ছ. পিছিয়ে থাকা অঞ্চলগুলোয় মানবসম্পদ উন্নয়ন এবং সামাজিক সুরক্ষা ও অধিক গুরুত্ব প্রদানের নীতি গ্রহণ করা।

সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় (২০১৫/১৬-২০১৯/২০) বলা হয়, বিগত দশক থেকে গড়ে প্রায় ৬ শতাংশ হারে অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি হলেও যে প্রশ্নটি উঠে এসেছে তা হলো-সব জেলা সমভাবে লাভবান হয়েছে কিনা। বলা হয়, কেন্দ্রচ্যুতি বনাম সমকেন্দ্রিকতার বিশ্লেষণ থেকে ধারণা পাওয়া যায়-দীর্ঘ সময় নিয়ে আঞ্চলিক বৈষম্য বেড়েছে। পশ্চাৎপদ অঞ্চলগুলোর উন্নয়নে ষষ্ঠ পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার কৌশলাদির বাস্তবায়ন না হওয়ায় ওইসব কৌশল বাস্তবায়নে সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায়ও জোর দেওয়া হয়। তাছাড়া কিছু নতুন কৌশল অবলম্বনের কথাও বলা হয়।

অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় (জুলাই ২০২০-জুন ২০২৫) বৈষম্যকে অঞ্চলভিত্তিতে না দেখে জেলাভিত্তিতে দেখা হয়েছে। তবে এতেও পরোক্ষভাবে আঞ্চলিক বা বিভাগীয় দারিদ্র্যের প্রতিফলন ঘটেছে। যেমন-দেশের সবচেয়ে দরিদ্র্য ১০টি জেলার মধ্যে পাঁচটিই (লালমনিরহাট, রংপুর, গাইবান্ধা, দিনাজপুর, কুড়িগ্রাম) রংপুর বিভাগে অবস্থিত।

তাছাড়া দেশের সবচেয়ে দরিদ্র জেলা কুড়িগ্রাম রংপুর বিভাগেই অবস্থিত। দরিদ্রতম জেলাগুলোয় ‘দারিদ্র্য নির্মূল’ করতে যেসব কর্মকাণ্ডের ওপর গুরুত্ব দেওয়ার কথা বলা হয়েছে, সেগুলোর মধ্যে রয়েছে-ক. পিছিয়ে পড়া জেলাগুলোর স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও অবকাঠামোগত চাহিদার উন্নতি বিধানে এডিপি ব্যয়ের ওপর আলোকপাত করা; খ. পিছিয়ে পড়া জেলাগুলোয় সামাজিক কর্মসূচিতে অগ্রাধিকার দেওয়া;

গ. সেচ, বন্যা নিয়ন্ত্রণ, জলাবদ্ধতা এবং পিছিয়ে পড়া জেলাগুলোয় লবণাক্ততা চিহ্নিত করার জন্য বাংলাদেশ ডেলটাপ্ল্যান ২০২১-এর প্রকল্প সম্পাদন পরিকল্পনাকে অগ্রাধিকার দেওয়া; ঘ. চর এলাকায় ঝুঁকি চিহ্নিতকরণে চর উন্নয়ন বোর্ড প্রতিষ্ঠা করা; ঙ. পিছিয়ে পড়া জেলাগুলোয় কৃষি উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি করা; চ. পিছিয়ে পড়া জেলাগুলোয় ঋণগত, প্রযুক্তিগত ও বাজারজাতকরণ সেবাসহ সহযোগিতা কর্মসূচির মাধ্যমে গ্রামীণ অকৃষি খাতের প্রবৃদ্ধিতে সহায়তা করা; ছ. বৈদেশিক কর্মসংস্থানের খরচ মেটাতে নির্ভুল তথ্য, প্রশিক্ষণ ও ঋণ সরবরাহের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক অভিবাসনে পিছিয়ে পড়া জেলাগুলোর অবস্থান উন্নতি করা; জ. পিছিয়ে পড়া জেলাগুলোয় স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোর অনুদান বৃদ্ধি এবং প্রশিক্ষণের মাধ্যমে এগুলোকে শক্তিশালী করা।

দেশের পশ্চাৎপদ অঞ্চল বা বিভাগগুলোর উন্নয়নে ষষ্ঠ ও সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় নির্দেশিত কৌশলাদি বাস্তবায়নে বার্ষিক বাজেটে তেমন গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। ২০১০-১১ থেকে ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটগুলো পর্যালোচনা করলে এর প্রমাণ পাওয়া যায়।

সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় বলা হয়, আঞ্চলিক বৈষম্য সমস্যার সমাধানমূলক বৃহত্তর অর্থনীতিতে পশ্চাৎপদ অঞ্চলগুলোর অধিকতর সুবিধা প্রদান এবং কারিগরি শিক্ষায় গুরুত্বদানসহ অবকাঠামো উন্নয়নের জন্য বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে একটি পৃথক তহবিল সংরক্ষণ করতে হবে।

এ তহবিল থেকে রংপুর, রাজশাহী, খুলনা ও বরিশালের মতো এলাকাগুলো এ ধরনের বিনিয়োগের জন্য বাঞ্ছিত গন্তব্য হিসাবে গৃহীত হতে পারে। পিছিয়ে পড়া অঞ্চলগুলোর উন্নয়নের জন্য এডিপিতে একটি পৃথক তহবিল সংরক্ষণে ষষ্ঠ ও সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার সুস্পষ্ট এ কৌশলটি বাস্তবায়নে কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানা নেই। উন্নয়ন প্রকল্প অনুমোদনকালে আঞ্চলিক বৈষম্য হ্রাসে অবদান রাখবে এমন প্রকল্পকে অগ্রাধিকার প্রদান করার ষষ্ঠ পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার কৌশলটি অবলম্বনের নজির খুব একটা আছে বলে মনে হয় না।

এক যুগ ধরে টানা ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ১০টি বৃহৎ অবকাঠামো প্রকল্প দ্রুততার সঙ্গে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ফাস্ট ট্র্যাকভুক্ত করেছে। এসব প্রকল্পের মধ্যে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র ছাড়া অন্য কোনো প্রকল্প সবচেয়ে দরিদ্র তিন অঞ্চল-রংপুর, ময়মনসিংহ ও রাজশাহীতে (হায়েস ২০১৬) অবস্থিত নয়। এসব প্রকল্পের বাস্তবায়ন সামষ্টিক অর্থনীতির উন্নয়নে অবদান রাখলেও পিছিয়ে পড়া অঞ্চলগুলোর অর্থনৈতিক বৈষম্য হ্রাসে অবদান রাখার সম্ভাবনা খুবই কম।

পশ্চাৎপদ অঞ্চলগুলোর সম্ভাব্য অভিবাসীদের অনুকূলে সুবিধা দিতে সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার বিশেষ অর্থায়ন স্কিম বাস্তবায়নের কৌশলটি আলোর মুখ দেখেছে বলে মনে হয় না। পিছিয়ে পড়া অঞ্চলগুলোর উন্নয়নে ষষ্ঠ ও সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় বর্ণিত আরও অনেক কৌশল বাস্তবায়নে বাজেটে কোনো গুরুত্ব দেওয়া হয়নি।

পিছিয়ে পড়া অঞ্চলগুলোর উন্নয়নে অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা ও প্রেক্ষিত পরিকল্পনায় (২০২১-২০৪১) নির্দেশিত কৌশলগুলোর বাস্তবায়ন বাজেটে গুরুত্ব পাচ্ছে না। পিছিয়ে পড়া জেলাগুলোকে সামাজিক কর্মসূচিতে অগ্রাধিকার দেওয়ার কথা অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় বলা হলেও বাস্তবে এমন কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে জানা নেই। অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় পিছিয়ে পড়া জেলার চর এলাকায় ঝুঁকি চিহ্নিতকরণে চর উন্নয়ন বোর্ড প্রতিষ্ঠা করার নির্দেশনা থাকলেও এ বিষয়ে কোনো অগ্রগতির খবর জানা নেই। পিছিয়ে পড়া জেলাগুলোর উন্নয়নে অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় সুনির্দিষ্টভাবে অন্য যেসব কৌশলের কথা বলা হয়েছে, সেগুলোর বাস্তবায়নে এযাবৎ বাজেটে কোনো পদক্ষেপ গ্রহণের কথা জানা যায়নি।

পিছিয়ে পড়া অঞ্চল বা বিভাগগুলোর উন্নয়নে ষষ্ঠ ও সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় উল্লিখিত কৌশলগুলো বাস্তবায়নে বাজেটে যথোপযুক্ত পদক্ষেপ গৃহীত না হওয়ায় এসব বিভাগের কোনো কোনো বিভাগে দারিদ্র্যহার হ্রাসের পরিবর্তে বেড়েছে। উদাহরণস্বরূপ, হায়েস-২০১৬ অনুযায়ী রংপুর অঞ্চল বা বিভাগে ২০১০ সালে দারিদ্র্যহার ছিল ৪২ দশমিক ৩ শতাংশ, যা ২০১৬ সালে বেড়ে দাঁড়ায় ৪৭ দশমিক ২ শতাংশে।

২০১৬ সালের পর আর কোনো হায়েস প্রণীত না হওয়ায় পিছিয়ে থাকা এসব অঞ্চলের বর্তমান দারিদ্র্যহার জানা যাচ্ছে না। তবে গত দুই বছরে করোনা মহামারির কারণে এ হার যে বেড়েছে, তা অনেকটা জোর দিয়ে বলা যায়।

উল্লেখ্য, দেশের কয়েকটি বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান/সংস্থা যেমন-সিপিডি, পিপিআরসি, বিআইজিডির মতে, করোনা মহামারির কারণে ২০২০-২১ অর্থবছরে দারিদ্র্যহার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৫ থেকে ৪২ শতাংশে। অর্থমন্ত্রী ২০২১ সালের ৯ জুন সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠানগুলোর গবেষণার ফলাফলে প্রাপ্ত দারিদ্র্যহারের যথার্থতা নিয়ে প্রশ্ন তুললেও করোনাকালীন তথ্য ও উপাত্তের ভিত্তিতে সরকার এখন পর্যন্ত জনগণকে জানায়নি দেশে দারিদ্র্যের হার কত।

দেশে সুষম আঞ্চলিক উন্নয়নের জন্য যেসব পদক্ষেপ গ্রহণ করা দরকার, সেগুলোর মধ্যে রয়েছে-এক. পশ্চাৎপদ অঞ্চল বা বিভাগগুলোর উন্নয়নে ষষ্ঠ, সপ্তম এবং চলতি অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় উল্লিখিত কৌশলগুলোর বাস্তবায়ন। দুই. জেলাভিত্তিক বাজেট প্রণয়ন। জেলাভিত্তিক বাজেট প্রণয়ন অর্থনীতিবিদ ও সুশীল সমাজের সদস্যদের অনেক দিনের দাবি। তাদের মতে, কেন্দ্রীয়ভাবে বাজেট প্রণয়ন করে স্থানীয় সমস্যা সমাধান করা যায় না। বাজেট হওয়া দরকার স্থানীয় পর্যায় থেকে কেন্দ্রীয় পর্যায়ে।

জেলা পর্যায়ে বাজেট প্রণয়নের মেকানিজম খুঁজে বের করতে হবে। দেশের ৬৪টি জেলায় প্রণীত বাজেট সমন্বয় করার দায়িত্ব পালন করবে কেন্দ্রীয় সরকার। একটি সূত্রে জানা যায়, ২০১৯ সালের জুলাই মাসে এক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জেলাভিত্তিক উন্নয়ন বাজেট প্রণয়নের আশ্বাস দিয়েছিলেন। তিন. প্রেক্ষিত পরিকল্পনায় বলা হয়েছে, দেশের সুষম উন্নয়ন নিশ্চিত করার বিষয়ে সরকার সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার প্রদান করে।

দেশের কিছু অঞ্চল পিছিয়ে থাকার কথা প্রেক্ষিত পরিকল্পনায় স্বীকার করা হয়েছে। দেশের এক অঞ্চলে যখন দারিদ্র্যহার ৪৭ দশমিক ২ শতাংশ, তখন অন্য এক অঞ্চলে এ হার ১৬ শতাংশ-এ অবস্থা চলতে দেওয়া যায় না। বাজেটব্যবস্থার মধ্য দিয়ে এ অবস্থার অবসান ঘটাতে হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat