জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদ দমনে বাংলাদেশের সাফল্য ঈর্ষণীয় বলে মন্তব্য করেছেন র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) মহাপরিচালক (ডিজি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন। হলি আর্টিজান হামলার ষষ্ঠ বার্ষিকী উপলক্ষে শুক্রবার (১ জুলাই) রাজধানীর গুলশানে পুরাতন গুলশান থানার সামনে স্থাপিত দীপ্ত শপথ ভাস্কর্যে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এমন মন্তব্য করেন তিনি।
র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) মহাপরিচালক (ডিজি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন আরো বলেন, আমরা যেভাবে জঙ্গিবাদ দমন করেছি সে ধারাবাহিকতা ধরেও রেখেছি। সাইবার জগতে আমরা জঙ্গি কার্যক্রমের বিষয়ে নজরদারি রাখছি।
জঙ্গিদের ডি-রেডিকালাইজেশনের কাজ চলছে উল্লেখ করে র্যাব ডিজি বলেন, আমরা ১৬ জঙ্গিকে ডি-রেডিকালাইজেশন করেছি। ১৬ জনকে আত্মসমর্পণ করিয়েছি। তাদের সঙ্গে আমরা সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছি, যাতে করে তারা আবার জঙ্গিবাদে জড়িয়ে না পড়ে।
র্যাব এ পর্যন্ত ৩ হাজার জঙ্গি গ্রেপ্তার করেছে উল্লেখ করে চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, হলি আর্টিজানের পর আমরা দেড় হাজারের বেশি জঙ্গি গ্রেপ্তার করেছি। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো মূল পরিকল্পনাকারী আমির সারোয়ার জাহান, অর্থায়ন ও পরিকল্পনার সঙ্গে জড়িত শরিফুল ইসলাম খালেক ও মামনুর রশিদ রিপনের গ্রেপ্তার।
সরকারের জিরো টলারেন্সের নীতির অংশ হিসেবে সমন্বিত অভিযান পরিচালনা করে জঙ্গিদের নেটওয়ার্ক ও আস্তানা ভেঙে গুড়িয়ে দেওয়ার কথাও উল্লেখ করেন র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) মহাপরিচালক (ডিজি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন।
উল্লেখ্য, হলি আর্টিজান হামলায় তৎকালীন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) রবিউল ও বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সালাউদ্দিন নিহত হন। তাদের স্মরণে গুলশান মডেল থানার সামনে দীপ্ত শপথ নামে এ দুই কর্মকর্তার ভাস্কর্য বানানো হয়। প্রতি বছর হলি আর্টিজানের হামলার বার্ষিকীতে দীপ্ত শপথ ভাস্কর্যে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয় তাদের স্মরণে।
এ জাতীয় আরো খবর..