পাওনা টাকা না পেয়ে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে নিজের গায়ে আগুন দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন কাজী আনিস (৫০) নামের এক ব্যবসায়ী। তাকে উদ্ধার করে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নেওয়া হয়েছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক।
কাজী আনিস কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার পান্টি গ্রামের বাসিন্দা বলে জানা গেছে।
পেশায় ঠিকাদারি ব্যবসা করেন আনিস।
কাজী আনিস কুষ্টিয়া জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ছিলেন। ১৯৯৩ সালে তিনি জেলা ছাত্রলীগে সভাপতির দায়িত্ব পান। বিষয়টি কালের কণ্ঠকে নিশ্চিত করেছেন কুষ্টিয়া জেলা ছাত্রলীগের সাবেক আরেক সভাপতি খন্দকার ইকবাল মাহমুদ।
ইকবাল মাহমুদ বলেন, 'কাজী আনিস আমার পর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি হয়। শুনেছি সে ঢাকায় প্রেস ক্লাবের সামনে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে। '
আনিসকে উদ্ধারকারী স্বদেশ বিচিত্রা পত্রিকার রিপোর্টার জানান, বিকেল আনুমানিক ৫টার সময়ে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে থেকে পুলিশের সহযোগিতায় দ্রুত সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নেওয়া হয়।
তিনি জানান বলেন, নিয়ে আসার সময় কিছুক্ষণ তার সাথে কথা হয়। আনিস জানিয়েছেন, তিনি হেনোলাক্স কম্পানির কাছে এক কোটি ২৬ লাখ টাকা পাবেন। কম্পানি পাওনা টাকা দিচ্ছে না। এ নিয়ে এর আগে মানববন্ধন করেছেন তিনি, কিন্তু কোনো লাভ হয়নি। তাই আজ গায়ে আগুন দিয়েছেন।
হাসপাতালে ভর্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন ঢামেক পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া। চিকিৎসকের বরাত দিয়ে তিনি জানান, তার মুখমণ্ডলসহ শরীরের বেশির ভাগ অংশ দগ্ধ হয়েছে। তার চিকিৎসা চলছে।
হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ডপ্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক এস এম আইউব হোসেন বলেন, দগ্ধ কাজী আনিসের শরীরে ৯০ শতাংশ পুড়ে গেছে। তার অবস্থা খুবই আশঙ্কাজনক।
দুই মাস আগে একটি শেখ কম্পানির কাছে এক কোটি ২৬ লাখ টাকা পাওনার দাবি নিয়ে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন করেছিলেন কাজী আনিস।
এ জাতীয় আরো খবর..