×
  • প্রকাশিত : ২০২০-০৯-০৩
  • ৯১ বার পঠিত

স্বাধীনবাংলা, নিউজ ডেস্ক:

সারা দেশে দুর্নীতি-অনিয়মসহ বিভিন্ন বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে জড়িত ক্ষমতাসীন দলের হাজার নেতার একটি তালিকা প্রণয়ন করা হয়েছে। আওয়ামী লীগের বিশ্বস্ত নেতৃবৃন্দের পাশাপাশি বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার মাধ্যমে এই তালিকা প্রস্তুত করেছেন দলের সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

দলীয় সূত্র জানায়, বিতর্কিত এই হাজার নেতার মধ্যে হাজারই বিরোধী মতাদর্শী অনুপ্রবেশকারী। অনেকে আবার বড় নেতাদের ঘনিষ্ঠজন হিসেবেও পরিচিত। তবে যত প্রভাবশালী এবং সরকার কিংবা ক্ষমতাসীন দলের যত ঘনিষ্ঠই হন না কেন, এবার ছাড় পাবেন না কেউ। কারো ব্যক্তিগত অপরাধের দায় নিতে নারাজ সরকার দল। বিতর্কিত নেতাদের বিরুদ্ধে এবার জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছেন প্রধানমন্ত্রী। চলতি মাসেই দেশ জুড়ে জোরালোভাবে শুদ্ধি অভিযান চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। একে একে সব বিতর্কিতদের বাদ দিয়ে ত্যাগীদের মূল্যায়নের মাধ্যমে দলকে সুসংগঠিত করাই এর লক্ষ্য।

গতকাল বুধবার দুপুরে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউস্থ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত দলের সম্পাদকমণ্ডলীর সভায় সংশ্লিষ্ট বিভাগীয় সম্পাদকদের কঠোর নির্দেশনা দিয়ে বলা হয়েছে, বিভাগীয় উপকমিটিগুলোতে আর বিতর্কিত বা অনুপ্রবেশকারীদের দেখতে চায় না আওয়ামী লীগ। ভবিষ্যতে কোনো কারণে কোনো উপকমিটিতে সাহেদদের মতো কাউকে জায়গা দেওয়া হলে তার দায়দায়িত্ব কমিটির চেয়ারম্যান সদস্যসচিবকেই নিতে হবে এবং দলের হাইকমান্ডের কাছে কৈফিয়ত দিতে হবে। বৈঠক সূত্র জানায়, ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্যের পরে বৈঠকে বাহাউদ্দিন নাছিমসহ সম্পাদকমণ্ডলীর বেশ কয়েকজন নেতা বক্তব্য রাখেন। সময় তারা বিতর্কিত অনুপ্রবেশকারীদের যেন কোনোভাবেই দলে জায়গা না দেওয়া হয় সে বিষয়ে আলোচনা করেন।

জানা গেছে, গত সাড়ে ১১ বছরে ৫৫ হাজার বিরোধী মতাদর্শী আওয়ামী লীগ এর সহযোগী সংগঠনগুলোতে অনুপ্রবেশ করেছেন। এর মধ্যে হাজার অধিকতর বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে লিপ্ত। রাজাকার পাকবাহিনীর সহযোগিতায় গঠিত শান্তি কমিটির প্রধান বা গুরুত্বপূর্ণ পদে ছিলেন এমন ব্যক্তি তাদের সন্তান-স্বজনদের কেউ কেউ নানা কৌশলে আওয়ামী লীগ এর সহযোগী সংগঠনগুলোতে ঢুকে পড়েছেন। এক সময় যারা ফ্রিডম পার্টি, বিএনপি জামায়াত-শিবিরের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন ২০০৯ সালের পর তারা দলে দলে সরকারি দলে যোগদান করা শুরু করেন। এসব অনুপ্রবেশকারীদের আশ্রয়দাতার তালিকায় আছেন ৬৭ মন্ত্রী-এমপি কেন্দ্রীয় নেতা।

সম্পাদকমণ্ডলীর সভায় যেসব জেলা, মহানগর সহযোগী সংগঠনের সম্মেলন হয়েছে তাদের আগামী ১৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে সভানেত্রীর ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে পূর্ণাঙ্গ কমিটি জমা দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তবে পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে অনুপ্রবেশকারী কাউকে না রাখতে বলা হয়েছে।

আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর একজন সদস্য জানান, দলীয় সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সব সময়ই দলের নেতাকর্মীদের অপকর্মে জড়িয়ে পড়াকে অপছন্দ করেন। তবে অনেক ক্ষেত্রে হয়তো তার কাছে সুস্পষ্ট প্রমাণ থাকে না। কিন্তু কোনো অভিযোগ প্রমাণিত হলে কী ধরনের ব্যবস্থা নেবেন এরই মধ্যে তিনি তা বুঝিয়ে দিয়েছেন। দলীয় হাইকমান্ডের নির্দেশে দলে অনুপ্রবেশকারী ঠেকাতে নজরদারি জোরদার করা হয়েছে। আশ্রয়দাতারা আর বিতর্কিতদের রক্ষা করতে পারবে না।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat