এই মৌসুমে প্রিমিয়ার লিগে শতভাগ জয়ের রেকর্ড তাহলে এখন শুধু আর্সেনালের!
লিভারপুল দুই ম্যাচেই ড্র করেছে। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড হেরেছে দুই ম্যাচেই। দুই জয়ের সঙ্গে একটা ড্র টটেনহামের। চেলসির তিন ম্যাচে একটি করে জয়, ড্র ও হার। এবার ড্র করে পয়েন্ট হারাল আগের দুই ম্যাচেই জেতা চ্যাম্পিয়ন ম্যানচেস্টার সিটিও। অবশ্য নিউক্যাসলের মাঠ থেকে আজ ১ পয়েন্ট নিয়ে ফিরতে পারাটাও সিটির ভাগ্যই বলতে হবে। ৩-১ গোলে পিছিয়ে পড়া সিটি নাটকীয়ভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে শেষ পর্যন্ত ড্র করেছে ৩-৩ গোলে।
ম্যাচের প্রথম এক ঘণ্টা এত দাপুটে খেলেছে নিউক্যাসল, শেষ পর্যন্ত জিততে না পারাটা তাদের দুর্ভাগ্যই বলতে হবে। ৫৪ মিনিটের মধ্যেই তিনটা গোল করেছে নিউক্যাসল, তবে ওদের গোল হতে পারত অন্তত পাঁচ-ছয়টা। অ্যালান সেন্ট-ম্যাক্সিমিন, ক্যালাম উইলসন, মিগুয়েল আলমিরনদের লম্বা পাসের খেলার অস্থির হয়ে পড়েছিল সিটি।
অথচ ম্যাচের শুরুটা সিটি করেছিল ৬ মিনিটেই ইলকায় গুন্দোয়ানের গোলে এগিয়ে গিয়ে। কিন্তু এরপরই নিউক্যাসল পেয়ে বসে পেপ গার্দিওলার দলকে। বিশেষ করে সেন্ট-ম্যাক্সিমিনকে আটকাতে গিয়ে হিমশিম খেয়েছেন সিটি রাইট ব্যাক কাইল ওয়াকার। ২৮ মিনিটে আলমিরনের গোলে সমতা ফেরায় নিউক্যাসল, ৩৯ মিনিটে এগিয়ে দেন উইলসন, ৫৪ মিনিটে ব্যবধান বাড়ানো গোলটা কিয়েরান ট্রিপিয়ারের।
৩-১ গোলে পিছিয়ে যাওয়ার পর যেন হুঁশ ফেরে সিটির। ৬১ মিনিটে রদ্রির পাস থেকে গোল করে ব্যবধান কমান আর্লিং হলান্ড। তিন মিনিট পরে কেভিন ডি ব্রুইনার অসাধারণ এক পাস থেকে গোল করে সমতা ফেরান বের্নার্দো সিলভা।
তারপর অবশ্য মনে হয়েছিল দুর্দান্ত এক প্রত্যাবর্তনের গল্প লিখে ম্যাচটা জিতেও নিতে পারে সিটি। কিন্তু সেটা হতে দেয়নি নিউক্যাসল। গোলের সুযোগ তারাও তৈরি করেছে, কিন্তু সিটি আর ভুল করেনি। তবে ম্যাচ শেষে প্রিমিয়ার লিগের চ্যাম্পিয়নদের কাছ থেকে ১ পয়েন্ট কেড়ে নিয়ে খুশি মনেই মাঠ ছেড়েছেন নিউক্যাসল খেলোয়াড়রা।
৩ ম্যাচে ৩ জয় নিয়ে আপাতত প্রিমিয়ার লিগের পয়েন্ট তালিকায় শীর্ষে আর্সেনাল। তিন ম্যাচে ২টি করে জয় ও একটি করে ড্র সিটি, লিডস, টটেনহাম ও ব্রাইটনের। তবে গোল ব্যবধানে এগিয়ে থাকায় দুই নম্বরে আপাতত সিটিই।
এ জাতীয় আরো খবর..