×
  • প্রকাশিত : ২০২২-০৬-২৮
  • ৭০ বার পঠিত
নিউজিল্যান্ডকে টেস্ট সিরিজে ইংল্যান্ডের ৩-০ ব্যবধানে হারানো ইংল্যান্ডের ক্রিকেটে নতুন দিনের শুরু নাকি টেস্ট ক্রিকেটের নতুন দিনের শুরু—এ নিয়ে আমুদে তর্ক হতেই পারে। তবে টেস্ট ক্রিকেটে নতুন দিনের ব্যাটিংয়ের শুরুটা যে এ সিরিজে দেখা গেছে, সেটা বলাই যায়। আর এই শুরুর অগ্রনায়ক হলেন জনি বেয়ারস্টো। ট্রেন্ট ব্রিজ আর হেডিংলিতে টেস্টে ব্যাটিংয়ের সংজ্ঞাই যেন পাল্টে দিয়েছেন। ট্রেন্ট ব্রিজে ৯২ বলে ১৩৬ রানের ইনিংসের পর হেডিংলিতে প্রথম ইনিংসে ১৫৭ বলে ১৬২ আর দ্বিতীয় ইনিংসে ৬২ বলে অপরাজিত ৭১। নতুন ধারার টেস্ট ব্যাটিং—বলাই তো যায়!

ট্রেন্ট ব্রিজে শেষ দিনে ২৯৯ রান তাড়া করে অসাধারণ জয়ের মুগ্ধতা কাটতে না কাটতেই হেডিংলিতে শেষ দুই দিনে ২৯৬ রানের লক্ষ্য ছুঁয়ে দেখাল ইংল্যান্ড। ব্রেন্ডন ম্যাককালামকে টেস্ট দলের কোচ হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার পর যে নতুন দিনের বার্তা বাতাসে ছড়িয়েছিল ইংল্যান্ড, সেটিই বাস্তবে পরিণত করে দেখাল বেন স্টোকসের দল। হেডিংলিতে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ইংল্যান্ড যখন ৬ উইকেট হারিয়ে ৫৫ রান তুলে ধুঁকছে, তখন বেয়ারস্টো অভিষিক্ত জেমি ওভারটনের সঙ্গে জুটি বেঁধে দলকে বিপদ থেকে বাঁচিয়ে লিড এনে দেন।

‘ফাস্ট বোলার’ হিসেবে সুযোগ পাওয়া ওভারটনের অবশ্য দুর্ভাগ্য। ৯৭ রানে আউট হয়েছেন তিনি। বোলার হিসেবে টেস্টে অভিষিক্ত হয়ে শতরান করার অনন্য নজিরটা তিনি স্থাপন করতে পারেনি। কিন্তু নায়ক তাঁরা দুজনই। তাঁদের রেকর্ড ২৪১ রানের জুটিতে ইংল্যান্ড ম্যাচের নিয়ন্ত্রণটা নিজেদের হাতে তুলে নেয়। তবে অস্বীকার করার কোনো উপায় নেই, বেয়ারস্টোর ইনিংস এতটাই ইতিবাচক ছিল যে ওভারটনও অনুপ্রাণিত হয়েছিলেন নিঃসন্দেহে।

নিজের ঘরের মাঠ হেডিংলিতে তাঁর এই ইনিংসকে ইংলিশ ব্যাটসম্যানদের মধ্যে অন্যতম সেরাই বলছেন সাবেক অধিনায়ক নাসের হুসেইন, ‘হেডিংলি বেয়ারস্টোর নিজের ঘরের মাঠ। এ মাঠে শতরান এমনিতেই তাঁর জন্য বিশেষ হতো। এ মাঠে ইংল্যান্ডকে জেতানো দারুণ কিছুই হতো। তাঁর এই ইনিংস আমার দেখা দুর্দান্ত এক ইনিংস। ইংলিশ ক্রিকেটে সেরা সময় কাটানো ব্যাটসম্যান বেয়ারস্টো। সে “বাজবলে”র (ব্রেন্ডন ম্যাককালাম) ছন্দটা ধরিয়ে দেয়। তার ব্যাটিংয়ে উন্মত্ততা ছিল না, ছিল একরাশ ইতিবাচকতা।’

বেয়ারস্টোর জন্য ২০২২ সালটা শুরু হয়েছিল দারুণ। অ্যাশেজ সিরিজে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে দলের চরম ব্যর্থতার মধ্যেও সিডনি টেস্টের প্রথম ইনিংসে ১৪০ রান করেছিলেন। দ্বিতীয় ইনিংসে ৪১। ইংল্যান্ড সেই টেস্টই ড্র করতে পেরেছিল গোটা সিরিজে। মার্চের ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে অ্যান্টিগা টেস্টে আবারও ১৪০ রানের ইনিংস। এরপর অবশ্য বড় একটা খরা। 

৮ ইনিংসে তাঁর সর্বোচ্চ ইনিংস এল—২৯, ব্রিজটাউনে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরেই। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজে লর্ডস আর নটিংহামের প্রথম দুই টেস্টেও ব্যর্থতা। ট্রেন্ট ব্রিজেই যেন নতুন করে ফিরে পেলেন নিজেকে। নিজেকে বদলালেন, বদলে দিলেন টেস্টের ব্যাটিংকেও! গোটা সিরিজকেই নিজের করে নিলেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat