ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেওয়া প্রস্তাবের ভিত্তিতে যুক্তরাষ্ট্র ও বেশ কয়েকটি পশ্চিমা শক্তিধর দেশের সঙ্গে নতুন করে পারমাণবিক চুক্তি করতে যাচ্ছে ইরান।
২০১৫ সালে ইরান-যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা দেশগুলোর মধ্যে এ চুক্তিটি হয়। এখন নতুন করে এটি আবার কার্যকর করা হবে। খবর আল জাজিরার।
আর এ চুক্তির বদলে ইরানের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেবে যুক্তরাষ্ট্রও তার মিত্রা। যার মধ্যে থাকবে বিদেশী ব্যাংকগুলোতে আটকে রাখা ইরানের অর্থ ছাড় ও তেল রপ্তানি।
এর বদলে ইরান তাদের পারমাণবিক কার্যক্রম অনেক কমিয়ে দেবে।
আল জাজিরা একজন কর্মকর্তার বরাতে জানিয়েছে, ৬০ দিনে চারটি ধাপে এ চুক্তি সম্পন্ন করা হবে।
যেদিন চুক্তি করা হবে সেদিনই ইরানের ১৭টি ব্যাংক এবং ১৫০টি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হবে। সেদিনই ইরানও তাদের পারমাণবিক কার্যক্রম কমিয়ে দেবে।
একটি পারমাণবিক বোমা তৈরি করতে ৯০ ভাগ ইউরোনিয়াম প্রয়োজন হয়। বর্তমানে ইরানের কাছে বোমা তৈরির ৬০ ইউরোনিয়াম আছে। যখন ২০১৫ সালে চুক্তি করা হয় তখন শর্ত ছিল ইরান তাদের ধারণ ক্ষমতার ৩.৬৭ ভাগ ইউরোনিয়াম রাখতে পারবে।
পুনরায় চুক্তি হওয়ার ১২০ দিনের মধ্যে ইরান প্রতিদিন ৫০ মিলিয়ন ব্যারেল তেল রপ্তানি করতে পারবে। তাছাড়া ইরানের কোষাগার থেকে ৭ বিলিয়ন ডলার ছাড়ও দেওয়া হবে। বর্তমানে যেটি দক্ষিণ কোরিয়ায় আটকে আছে।
আর চুক্তির ১২০ দিন পর ইরান প্রতিদিন ২.৫ মিলিয়ন ব্যারেল তেল রপ্তানি করতে পারবে।
এদিকে ২০১৫ সালে ইরানের সঙ্গে পারমাণবিক চুক্তি করেছিল যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য, জার্মানি, চীন এবং রাশিয়া।
কিন্তু ২০১৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহার করে নেন এবং ইরানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন।
এবার নতুন যে চুক্তি হচ্ছে সেখানে বলা হয়েছে, যদি যুক্তরাষ্ট্র আবারও চুক্তি থেকে বের হয়ে যায় তাহলে তাদের জরিমানা দিতে হবে।
সূত্র: আল জাজিরা
এ জাতীয় আরো খবর..