যেসব দেশ মানবাধিকার বিষয়ে সবক দেয় বা প্রশ্ন তোলে এবং নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে তারাই বঙ্গবন্ধু ও নারী-শিশুসহ তার পরিবারের অধিকাংশ সদস্যকে হত্যাকারীদের আশ্রয় দিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘আজকে এদের কাছ থেকে আমাদের মানবাধিকারের সবক নিতে হয়। যারা আমার বাবা, মা, ভাই, নারী-শিশুদেরকে হত্যা করেছে তাদেরকে তারা রক্ষা করে। ’
তিনি আরো বলেন, ‘আজকে যে সব দেশ মানবাধিকারের প্রশ্ন তোলে আমাদের স্যাংশন দেয়, তারাই তো খুনিদের আশ্রয় দিয়ে রেখেছে।
এই খুনি রাশেদ ছিল কমান্ডিং অফিসার, আমেরিকার সঙ্গে বারবার কথা বলেছি তাকে তারা দিচ্ছে না। তাকে তারা লালন-পালন করে রেখে দিচ্ছে। আর নূর আছে কানাডায়। ’
আজ মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে জাতির পিতার ৪৭তম শাহাদতবার্ষিকী এবং জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে এক স্মরণসভায় সভাপতির ভাষণে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি পলাতক খুনিদের অবস্থান সম্পর্কে বলেন, ‘রশিদ লিবিয়াতে পড়ে থাকে মাঝে মাঝে পাকিস্তানে যায়। ডালিম আছে লাহোরে এইটুকু জানি খুব বেশি খবর পাওয়া যাচ্ছে না। মোসলেমউদ্দিন নামধাম পরিবর্তন করে বিভিন্ন সময়ে অবস্থান বদল করে বিভিন্ন স্থানে গাঢাকা দিয়ে আছে। হুদাকে সে দেশের সরকারের সহযোগিতায় থাইল্যান্ড থেকে এবং মহিউদ্দিনকে দেশে এনে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামির মধ্যে ফারুকসহ ছয়জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা সম্ভব হয়েছে এই ৪৭ বছরে। ’ তাহলে তার এবং পরিবারের ভাগ্যহতদের মানবাধিকার কোথায়―সে প্রশ্নও তোলেন তিনি।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের সূচনা বক্তৃতা করেন। দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ ও বক্তৃতা করেন। সভায় দলের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য বর্ষীয়ান নেতা আমির হোসের আমু ও তোফায়েল আহমদ, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান ও অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বক্তৃতা করেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিবসহ ৭৫-এর ১৫ আগস্টের সকল শহীদ স্মরণে সকলে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করেন।
এ জাতীয় আরো খবর..