টানা নয়টি মাস যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে ছিলেন শাকিব খান। এবার সময় হয়েছে ফেরার। যে মিশন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়া, সবকিছু সুন্দরভাবে সম্পন্ন হয়েছে বলে জানান শাকিব খান। তাই তো ঢাকায় ফেরার বিমানের টিকিটও কেটে ফেলেছেন। আজ সোমবার সকালে শাকিব জানান, সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে ১৫ আগস্ট সকালে তিনি ঢাকায় ফিরছেন।
শাকিব খানের পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, নিউইয়র্ক স্থানীয় সময় ১৩ আগস্ট রাত সাড়ে ১১টায় তিনি বাংলাদেশে ফেরার উদ্দেশ্যে বিমানে চড়বেন। প্রথমে নিউইয়র্ক থেকে ইস্তাম্বুলে পৌঁছাবেন। এরপর আড়াই ঘণ্টার যাত্রাবিরতি। ইস্তাম্বুল থেকে ঢাকায় ফিরতে ফিরতে ১৫ আগস্ট সকাল ৬টা। শাকিব জানান, ‘হঠাৎ পেছন ফিরে দেখি, যুক্তরাষ্ট্রে ৯ মাস থাকা হয়ে গেল! এই আমি এত লম্বা সময় কোথাও ছিলাম না।’ এত লম্বা সময় কীভাবে পার হয়ে গেল, টেরই পাননি বলে জানান শাকিব খান।
গত বছর ১২ নভেম্বর নিউইয়র্কের উদ্দেশ্যে ঢাকা ছাড়েন শাকিব খান। চ্যানেল আইয়ের মিউজিক অ্যাওয়ার্ডে বিশেষ অতিথি হিসেবে আমন্ত্রিত হয়ে সেখানে যান এ ঢালিউড তারকা। এ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ শেষে ঢাকায় ফেরার কথা থাকলেও দেশটিতে গ্রিন কার্ডের আবেদনের কারণে তখন আর দেশে ফেরা হয়নি। গ্রিন কার্ডের যাবতীয় প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয় নিউইয়র্ক সময় গত ২৯ জুলাই। এদিন সন্ধ্যায় সেখানে শাকিব খান বিশ্ব ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় তারকা সাকিব আল হাসানসহ একটি আড্ডায় অংশ নেন। নিউইয়র্কভিত্তিক একটি সংগঠনের আয়োজনে এই আড্ডায় প্রবাসী বাঙালিরা চলচ্চিত্র ও ক্রিকেটের দুই তারকাকে কাছাকাছি পেয়ে ছবি তোলেন ও আড্ডায় মেতে ওঠেন।
কথা প্রসঙ্গে জানা গেছে, ঢাকায় ফেরার পর শাকিব খান তাঁর প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান এসকে ফিল্মসের কাজ নিয়ে ব্যস্ত হয়ে উঠবেন। পাশাপাশি দেশের ও দেশের বাইরের একাধিক প্রযোজক আর পরিচালকের সঙ্গে নতুন ছবি নিয়ে আগামীর পরিকল্পনা করবেন বলেও জানালেন। সরকারি অনুদান পাওয়া ছবি ‘মায়া’ (সম্ভাব্য নাম)–এর কাজটা খুব শিগগির শুরু করতে চান বলেও জানান শাকিব। শাকিব খান জানান, ‘যুক্তরাষ্ট্রে এত লম্বা সময় থাকার পেছনে গ্রিন কার্ডের ইস্যু যেমন ছিল, তেমনি বাংলাদেশি চলচ্চিত্রের ডিস্ট্রিবিউশন ও চলচ্চিত্রের বাজার সম্প্রসারণে অনেকের সঙ্গে আলাপ করেছি। কীভাবে দেশের চলচ্চিত্রকে নিয়ে আরও বড় পরিসরে এগিয়ে যাওয়া যায়, সেসব নিয়ে অনেক ধরনের পরিকল্পনা করেছি। চেষ্টা করে যাব, ভবিষ্যতে সমমনা সবাইকে নিয়ে এসবের বাস্তবায়ন করতে।’
শাকিব খান নিউইয়র্কে থাকা অবস্থায় বাংলাদেশের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে তাঁর দুটি চলচ্চিত্র ‘গলুই’ ও ‘বিদ্রোহী’। ঈদুল ফিতরে মুক্তি পাওয়া ছবি দুটির মধ্যে ‘গলুই’ ঈদুল আজহায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রেক্ষাগৃহেও মুক্তি পেয়েছে। নিউইয়র্কে থাকা অবস্থায় ‘লিডার; আমিই বাংলাদেশ’ চলচ্চিত্রের ডাবিংও সম্পন্ন করেন তিনি।
এ জাতীয় আরো খবর..