পাকিস্তানের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী হিনা রাব্বানি খার ডি-৮ পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে অংশ নিতে ঢাকায় আসছেন না। আগামীকাল বুধবার বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। এতে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর সশরীরে উপস্থিত থাকার কথা ছিল।
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়, ডি-৮ মন্ত্রীদের বৈঠক ‘হাইব্রিড ফরম্যাটে’ অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
পাকিস্তানের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ভার্চুয়ালি এ বৈঠকে যোগ দেবেন।
জানা গেছে, ডি-৮ মন্ত্রীদের বৈঠকের আগে চলমান ডি-৮ কমিশনারদের বৈঠকে পাকিস্তান অংশ নিচ্ছে। এ ছাড়া পাকিস্তানের ১০ সদস্যের একটি ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদলও ঢাকা সফর করছে।
ঢাকায় পাকিস্তান হাইকমিশনের ফেসবুক পেজের কভার ফটোতে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের পতাকা প্রকাশকে ঘিরে গত সপ্তাহে বিতর্ক তৈরি হয়। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গত শনিবার পাকিস্তান হাইকমিশনকে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা সংবলিত ‘কোলাজ’ সরিয়ে ফেলার আহ্বান জানায়। গত রবিবার দুপুরে পাকিস্তান হাইকমিশন ওই কোলাজ সরিয়ে ফেলে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন গত রবিবার দুপুরে এ বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের পতাকাকে একত্র করে পাকিস্তান হাইকমিশনের ফেসবুক পেজে ছবি আপলোড করার ব্যাপারে সরকারের পক্ষ থেকে আপত্তি জানানো হয়েছে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘তাদের (পাকিস্তান হাইকমিশনের) কোনো ধরনের অসৎ উদ্দেশ্য নেই। আমরা তাদের বলেছি, এখানে এটি বাদ দিলেই ভালো হয়। আমরা আশা করি, তারা আমাদের কথা শুনে এটি সরিয়ে ফেলবে। ’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরো বলেন, ‘পাকিস্তান হাইকমিশন বলছে, তাদের দেশের পতাকা এবং অন্য দেশের পতাকা একসঙ্গে মিলিয়ে তারা এ ধরনের ছবি তৈরি করে থাকে। এ ধরনের পতাকা তুরস্ক, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, শ্রীলঙ্কাসহ অন্যান্য দেশেও তারা ব্যবহার করেছে।
পাকিস্তান হাইকমিশন বাংলাদেশের পতাকা ব্যবহারের নীতিমালা লঙ্ঘন করেছে কি না জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন বলেন, ‘আমাদের আপত্তি থাকলে নিশ্চয়ই তারা বিষয়টি প্রত্যাহার করবে। আমরা বলেছি, বিষয়টি আমাদের পছন্দ না। ’
পাকিস্তানের ঢাকার হাইকমিশনের বিরুদ্ধে জাতীয় পতাকা অবমাননার অভিযোগ করে এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ ও একাত্তরের ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটি।
এ জাতীয় আরো খবর..