স্বাধীনবাংলা,
স্টাফ রির্পোটারঃ
আইইডিসিআর
ও আইসিডিডিআর'বি এর এক
গবেষণায় বলা হয়েছে ঢাকা শহরের ৪৫ শতাংশ
মানুষ করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্ত। গত
৮ মার্চ দেশে করোনা
ভাইরাস আক্রান্ত শনাক্ত হওয়ার পর
থেকে ধীরে ধীরে আক্রান্ত
বাড়তে থাকে।সংক্রমণের হার
বাড়তে থাকায় ১৮ এপ্রিল
থেকে ৫ জুলাই পর্যন্ত
অর্থাৎ আড়াই মাস ধরে
রাজধানীর ১০ শতাংশ মানুষের
ওপর জরিপ চালায় আইইডিসিআর
এবং আইসিডিডিআর'বি।
সোমবার (১২ অক্টোবর), রাজধানীর গুলশানের একটি হোটেলে আয়োজিত ঢাকায় কোভিড-১৯ এর প্রার্দুভাব, বিস্তৃতি বিষয়ক এক সেমিনারে দেশে করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতি ও জিন রূপান্তর নিয়ে গবেষণার এই তথ্য প্রকাশ করা হয়। ১৫ থেকে ১৯ বছরের মধ্যে রয়েছেন ১৮ শতাংশ। এমন কি আইইডিসিআর এর সংবাদ সম্মেলনে প্রতিদিনই নারী পুরুষের আক্রান্তের হারে পার্থক্য দেখা গেলেও এই জরিপে দেখা গেছে সমানভাবে সংক্রমণের হার।
সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি সংযুক্ত হন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। এছাড়াও এতে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. এ বি এম খুরশীদ, ইউএসএআইডি মিশনের পরিচালক ডেরিক এস ব্রাউন ও আইসিডিডিআরবি’র বাংলাদেশ নির্বাহী ড. তাহমিদ আহমেদ। সেমিনারে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা করোনাভ সংক্রমণের প্রথম পর্যায়ের নানা তথ্য ও উপাত্ত তুলে ধরেন। এসময় তিনি বলেন, 'করোনা পজেটিভদের মধ্যে ৮০ শতাংশই পাওয়া গেছে সিমটম ছাড়া। পুরুষ ও মহিলার মধ্যে খুব একটা পার্থক্য পাওয়া যায়নি আক্রান্তের দিক থেকে। ভ্যাকসিন পাওয়া সময় সাপেক্ষ বিষয়। এজন্য সকলের মাস্ক পরিধান করা এবং সামাজিক দূরত্ব মেনে চলার বিকল্প নেই।' সেমিনারে বিশেষজ্ঞরা বলেন, ভ্যাকসিন সময় সাপেক্ষ ব্যাপার। যার ফলে দ্বিতীয় পর্যায়ের সংক্রমণ ঠেকাতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার বিকল্প নেই বলে মনে করছেন তারা। জনগণের অংশ গ্রহণ জরুরি বলেও মনে করেন তারা। তবে আক্রান্তের তুলনায় মৃত্যুর হার কম কেন, এমন প্রশ্নের বৈজ্ঞানিক কোন ব্যাখ্যা দিতে পারেনি প্রতিষ্ঠান দুটি।