ম্যাচ দুটি দ্বিতীয় স্তরের লিগের। তা যে স্তরের ম্যাচই হোক না কেন, তাই বলে কোনো দল ৯৫–০ বা ৯১–১ গোলে হারবে! শুনতে অবিশ্বাস্য লাগলেও এমন ঘটনাই ঘটেছে সিয়েরা লিওনের দ্বিতীয় স্তরের ফুটবল লিগে। এমন অস্বাভাবিক ফলের কারণে ম্যাচ দুটি নিয়ে তদন্ত করার ঘোষণা দিয়েছে সিয়েরা লিওনের ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (এসএলএফএ)।
দুই ম্যাচ মিলে ১৮৭ গোল! কাহুনলা রেঞ্জার্স ৯৫–০ গোলে হারিয়েছে লোম্বেবু ইউনাইটেডকে। আর ককুইমা লেবাননের বিপক্ষে গালফ এফসির জয়টি ৯১–১ গোলে।
এর চেয়েও বেশি অবাক করা ঘটনা প্রথমার্ধে ৯৫–০ গোলের ম্যাচটির স্কোরলাইন ছিল ২–০। আর অন্য ম্যাচটি প্রথমার্ধে ছিল ৭–১। প্রথম যে ম্যাচটির কথা বলা হচ্ছে, সেটিতে দ্বিতীয়ার্ধে হয়েছে ৯৩ গোল। যার মানে প্রতি মিনিটে ২টি করে গোল হয়েছে। আরেকটি ম্যাচের অবস্থাও তা–ই, দ্বিতীয়ার্ধে হয়েছে ৮৪ গোল।
এটাকে পাতানো ম্যাচের ভয়ংকর এক ঘটনা বলেছেন এসএলএফএর প্রধান ড্যাডি ব্রিমা, ‘এমন ঘটনায় কেউ শাস্তি পাবে না, এমনটা হতে পারে না। আমরা দ্রুতই তদন্ত শুরু করব।’
৯৫–০ গোলে জেতা ম্যাচটি কাহুনলা রেঞ্জার্স পাতিয়েছিল কি না, সে বিষয়ে সরাসরি কিছু বলেননি দলটির প্রধান নির্বাহী এরিক কেইটেল। কিন্তু এ ধরনের ঘটনায় তিনি ফুটবল সমর্থকদের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন, ‘আমার দল কাহুনলা রেঞ্জার্সের এমন জয়ের জন্য আমি দেশের ফুটবলপ্রেমীদের কাছে ক্ষমা চেয়েই কথা শুরু করছি।’
কেইটেল এরপর যোগ করেন, ‘আমার দল এবং এর সঙ্গে জড়িত আরেক দলের এমন অখেলোয়াড়সুলভ আচরণের জন্য আমি দুঃখ প্রকাশ করছি।’ কাহুনলা রেঞ্জার্স নিজেরাও এ বিষয়ে তদন্ত করবে এবং দায়ী ব্যক্তিকে শাস্তি দেওয়া হবে বলেও ঘোষণা দিয়েছেন কেইটেল।
৯৫–০ গোলে হারা লোম্বেবুর মহাপরিচালক মোহাম্মদ ইয়ান সাইয়েদ জাল্লো বলেছেন, ‘দ্বিতীয়ার্ধে আমরা অনেক গোল খেয়েছি। আমি এটা নিয়ে হতাশ। তবে আমি কোনোভাবেই ম্যাচ পাতানোর সঙ্গে জড়িত নই।
এ জাতীয় আরো খবর..