ঢাকা-মাওয়া-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ে নামে পরিচিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মহাসড়কে টোল আদায়ে ধীরগতির কারণে ধলেশ্বরী টোল প্লাজা থেকে কেরানীগঞ্জের আব্দুল্লাপুর পর্যন্ত মহাসড়কের কয়েক কিলোমিটার এলাকাজুড়ে গাড়ির দীর্ঘ সারি দেখা গেছে।
শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটির দিন ও পদ্মা সেতু চালু হওয়ার কারণে গাড়ির সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় প্লাজার সামনে অনেক গাড়ি দাঁড়িয়ে থাকছে।এছাড়া সফটওয়্যারে টোল আদায় ও টাকা ভাংতিসংক্রান্ত ঝামেলার কারণে আদায় কাজের গতি কিছুটা কমেছে।
তবে গতকাল বৃহস্পতিবার রাত থেকে চারটি টোল বুথের মাধ্যমে টোল আদায় করা হলেও শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে আরও তিনটি বাড়িয়ে সাতটি টোল বুথ করা হয়েছে। এতে টোল আদায়ের গতি বৃদ্ধি পাওয়ায় কমছে যানজট।
মুন্সীগঞ্জ সওজের নির্বাহী প্রকৌশলী নাহিয়ান রেজা জানান, বৃহস্পতিবার রাত ১২টার মধ্যে টোল আদায়কারী সংস্থা কেইসিকে প্লাজা বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে। এরপর থেকে তারাই টোল কালেকশন ও অপারেশন প্রক্রিয়া শুরু করে।
তিনি জানান, সাপ্তাহিক ছুটির দিন ও পদ্মা সেতু চালু হওয়ায় এক্সপ্রেসওয়ের টোল প্লাজার কাছে মহাসড়কে গাড়ির সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে।
এ ছাড়া টোল নেয়ার সময় টাকা ভাংতি করা নিয়েও ট্রাক-বাসচালকদের সঙ্গে তর্ক-বিতর্ক হওয়াতেও এক একটা গাড়ি থেকে টোল নিতে প্রায় ২ থেকে ৩ মিনিট সময় লাগছে। এ কারণেও গাড়ির সারি দীর্ঘ হচ্ছে।
এ ব্যাপারে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মহাসড়কের টোল প্লাজার ভারপ্রাপ্ত প্রশাসনিক কর্মকর্তা আবু হোসেন জাকারিয়া বলেন, নতুন করে তিনটি বুথ চালু করায় যানজট কমেছে। এখন এক কিলোমিটার যানজট আছে। অতিদ্রুত এটিও স্বাভাবিক হয়ে যাবে।
এ জাতীয় আরো খবর..