দেশীয় ফলের সমাহার নিয়ে জাতীয় সংসদ ভবনের ৬ষ্ঠ তলায় সাংবাদিক লাইঞ্জে ফল উৎসবের আয়োজন করেছে বাংলাদেশ পার্লামেন্ট জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন (বিপিজেএ)। এবারের ফল উৎসবে দেশীয় ২১ জাতের ফল রাখা হয়েছিল। দেশীয় ফলকে ঘিরে সাংবাদিকদের এই উৎসবকে সংসদের ঐতিহ্য বলে আখ্যায়িত করেছেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।
সোমবার আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিপিজেএ সভাপতি উত্তম চক্রবর্তী।
সংগঠনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নিখিল ভদ্রের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আলোচনায় অংশ নেন চিফ হুইপ নূর-এ আলম চৌধুরী, হুইপ ইকবালুর রহিম, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মশিউর রহমান, সংগঠনের অর্থ সম্পাদক কাজী সোহাগ প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে স্পিকার বলেন, এই ফল উৎসব সংসদ বিটের সাংবাদিকদের চিন্তা প্রসূত একটা ইউনিক অনুষ্ঠান। দেশে যত ধরনের ফল হয়, তারই এক চমৎকার সমাহার আজকের এই আয়োজন। যা আমাদের সংস্কৃতিরও অংশ। দুই বছর পরে হলেও আমরা আমাদের ফল উৎসবে আবার সকলে একত্রিত হতে পেরেছি।
তিনি বলেন, অনেক জায়গাতে ফলের মেলা হয় কিন্তু এই ধরণের একটা ফল উৎসব হিসেবে এবং দেশীয় সকল ফলের সমাহার এটার বিশেষত্ব আছে। অতীতে যতবার এসেছি অনেক গুণেছি কতটি ফল এক সঙ্গে সংগ্রহ করতে পেরেছি। এমন অনেক ফল এসছে যেটা হয়তো আমরাও অনেকে চিনি না। এই উৎসবের একটা নতুনত্ব আছে, বিশেষত্ব আছে। ফল উৎসবের ধারাবাহিকতা আগামীতে অব্যাহত থাকবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
চিফ হুইপ নূর ই আলম চৌধুরী বলেন, আমি ভাবতেও পারি নাই এ ধরণের সুন্দর অনুষ্ঠান হবে। আসার পর কাঁঠালের গন্ধে মনে হচ্ছে এখানে ফলের একটা সমাহার বসেছে। আমাদের ফল, আমাদের সংস্কৃতি, এটাই আমাদের সম্পদ। এটাকে ধরে রাখতে হবে। এটাতে যত উন্নয়ন করব আমাদের আগামী প্রজন্ম শিখবে। সবাই এখন বিদেশি ফলের দিকে চলে যাচ্ছি আমাদের ফল, আমাদের সংস্কৃতি আমাদের গান এটাই তো বাংলাদেশ। এই ধরণের উৎসব আরো বেশি করে করা দরকার।
দেশীয় ২১টি জাতের ফল দিয়ে সাজানো হয় এই ফল উৎসব। এর মধ্যে ছিল আম, জাম, লটকন, কাঁঠাল, কলা, আমড়া, কামরাঙ্গা, ডেউয়া, পেঁপে, তরমুজ, পেয়ারা, করমচা, আমলকি, আনারস, জাম্বুরা, শসা, খেজুর, জামরুল ইত্যাদি।
এ জাতীয় আরো খবর..