গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনায় একজনের মৃত্যু বেড়েছে। গতকাল পাঁচজনের মৃত্যুর খবর দিলেও গত ২৪ ঘণ্টায় ছয়জনের মৃত্যুর খবর দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এ নিয়ে মোট মৃত্যু দাঁড়াল ২৯ হাজার ১৬০ জনে।
মৃত্যুবরণকারীদের মধ্যে তিনজন পুরুষ এবং তিনজন নারী।
ছয়জনের মধ্যে ঢাকায় তিনজন, চট্টগ্রামে দুজন এবং ময়মনসিংহে একজন মারা যায়।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য মতে, মৃত্যুবরণকারীদের মধ্যে ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে একজন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে দুজন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে একজন, ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে একজন এবং ৭১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে একজন আছেন।
তবে কমতে শুরু করেছে করোনা শনাক্তের হার। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে মোট এক হাজার ১০৫ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। গতকাল শুক্রবার এক হাজার ৮৯৭ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছিল। এ পর্যন্ত মোট আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৯ লাখ ৭৬ হাজার ৭৮৭ জনে।
শনিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো করোনাবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছে ২৩৩ জন। এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছে ১৯ লাখ ৭ হাজার ৯৯০ জন।
২৪ ঘণ্টায় আট হাজার ১৭৭টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। পরীক্ষা করা হয় আট হাজার ৩৫৭টি নমুনা। পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ২২ শতাংশ। মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৭৬ শতাংশ।
এদিকে আবারও করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাড়তে থাকার প্রেক্ষাপটে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা, মাস্ক পরাসহ বিভিন্ন ধরনের বিধি-নিষেধ মেনে চলা বাধ্যতামূলক করেছে সরকার। গত মঙ্গলবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপনে ছয়টি নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
এতে বলা হয়, সাম্প্রতিককালে সারা দেশে কভিড-১৯ আক্রান্তের হার দ্রুতগতিতে বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং জনগণের মধ্যে মাস্ক পরিধান ও স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণে যথেষ্ট শৈথিল্য পরিলক্ষিত হচ্ছে মর্মে সরকারের উচ্চ মহলে আলোচনা হচ্ছে।
কভিড-১৯ জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির গত ১৪ জুন অনুষ্ঠিত সভায় গৃহীত সুপারিশ প্রতিপালনের জন্য এবং কভিড প্রতিরোধকল্পে নিম্নোক্ত নির্দেশনাসমূহ বাস্তবায়নের জন্য অনুরোধ করা হলো।
২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে প্রথম তিনজনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ওই বছরের ১৮ মার্চ দেশে এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়। ২০২১ সালের ৫ ও ১০ আগস্ট দুই দিন সর্বাধিক ২৬৪ জন করে মারা যায়।
এ জাতীয় আরো খবর..