সারা দেশে লোড শেডিংসহ বিদ্যুৎ পরিস্থিতিতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে তেল গ্যাস খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটি। কমিটির সভায় বলা হয়েছে, ‘স্বনির্ভর ও পরিবেশ বান্ধব জ্বালানি নীতির বদলে আমদানি নির্ভর জ্বালানি নীতিতে সংকট তীব্র হয়েছে। দেশে গ্যাস সম্পদ ও নবায়ণযোগ্য জ্বালানির উৎস থাকলেও কতিপয় গোষ্ঠীকে লাভবান করতে জ্বালানি খাতকে আমদানি নির্ভর করা হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে আবারো বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দাম বৃদ্ধির অপচেষ্টা চলছে।

এই অপচেষ্টা রুখে দাঁড়াতে হবে।

আজ শুক্রবার রাজধানীর পুরানা পল্টনে মুক্তি ভবনে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন জাতীয় কমিটির সাবেক সদস্য সচিব অধ্যাপক ড. এম এম আকাশ।

সভায় বক্তৃতা করেন জাতীয় কমিটির সংগঠক রুহিন হোসেন প্রিন্স, বজলুর রশীদ ফিরোজ, জোনায়েদ সাকী, নজরুল ইসলাম, ডা. হারুন অর রশীদ, আকবর খান, মাসুদ রানা, বিধান দাস, মফিজুর রহমান লালটু, খান আসাদুজ্জামান মাসুম, বাচ্চু ভূইয়া, তৈমুর খান অপু, অনুপ কুন্ডু, মোফাজ্জল হোসেন মোস্তাক, সাদেক খান, রাজু আহমেদ প্রমুখ।

সভায় বলা হয়, দেশের গ্যাস অনুসন্ধান, উত্তোলন, নবায়ণযোগ্য জ্বালানি ব্যবহার, শিল্প কৃষিসহ ঘরে ঘরে সুলভে পরিবেশ বান্ধব বিদ্যুৎ দিতে জাতীয় কমিটির খসড়া প্রস্তাব এবং দেশপ্রেমিক বিশেষজ্ঞদের মতামত উপেক্ষা করে আমদানি নির্ভরতায় যে সংকট তৈরি হয়েছে তার দায় সরকারকেই নিতে হবে। সভায় জ্বালানি খাতের শ্বেতপত্র প্রকাশ এবং জ্বালানি অপরাধীদের চিহ্নিত করে আইনের লাইনের আওতায় আনার দাবি জানানো হয়। দাবি আদায়ে আগামী ২১ জুলাই বৃহস্পতিবার দেশব্যাপী বিক্ষোভ কর্মসূচি পালনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

সভায় দেশের বিদ্যুৎ পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে জনজীবন ও কৃষি শিল্প উৎপাদন স্বাভাবিক রাখতে সকল বিলাসী কার্যক্রম বন্ধের আহ্বান জানান হয়।