বাংলাদেশ ও ভারতের যৌথ পরামর্শক কমিশনের (জেসিসি) সপ্তম বৈঠক আজ রবিবার নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এ বৈঠকে যৌথভাবে সভাপতিত্ব করবেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন এবং ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুব্রামানিয়াম জয়শঙ্কর। বৈঠকে অমীমাংসিত ইস্যুগুলোর সমাধান চাইবে বাংলাদেশ।
বৈঠক উপলক্ষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী তিন দিনের সফরে গতকাল শনিবার নয়াদিল্লিতে পৌঁছেছেন।
তিনি নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশন ও কনফেডারেশন অব ইন্ডিয়ান ইন্ডাস্ট্রির (সিআইআই) যৌথ আয়োজনে ‘ইন্টার্যাক্টিভ বিজনেস মিটিং’ শীর্ষক এক অনুষ্ঠানেও যোগ দেবেন।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গতকাল সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, আজ জেসিসির সপ্তম দফা বৈঠকে কভিড-১৯-এর পরিপ্রেক্ষিতে সহযোগিতাসহ দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের বিভিন্ন দিক ও দ্বিপক্ষীয় ইস্যুগুলো নিয়ে আলোচনা করা হবে। এটি কভিড-১৯ মহামারি-পরবর্তী প্রথম বৈঠক। এর আগের বৈঠকটি ২০২০ সালে ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠিত হয়। এবারের জেসিসি বৈঠকে কভিড-১৯-এর পরিপ্রেক্ষিতে বিস্তারিত বিষয় নিয়ে পর্যালোচনা করা হবে।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, বৈঠকে সীমান্ত ব্যবস্থাপনা, নিরাপত্তা, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, যোগাযোগ, জ্বালানি, পানিসম্পদ, উন্নয়ন অংশীদারি এবং আঞ্চলিক ও বহুমুখী ইস্যুসহ অন্য বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হতে যাচ্ছে।
কূটনৈতিক সূত্রগুলো বলছে, প্রধানমন্ত্রীর আসন্ন ভারত সফর নিয়ে দুই দেশের মধ্যে আলোচনা চলছে। সেই সফরকে ফলপ্রসূ করতে আজকের বৈঠকে উদ্যোগ থাকবে। বিশেষ করে পানিসম্পদ খাতে অগ্রগতি প্রত্যাশা করছে বাংলাদেশ।
গত ৩০ মে নয়াদিল্লিতে জেসিসি বৈঠক হওয়ার কথা থাকলেও তা পেছানো হয়। বাংলাদেশ চেয়েছিল জেসিসি বৈঠকের আগে দুই দেশের যৌথ নদী কমিশনের (জেআরসি) বৈঠক করতে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা হয়নি।
জেসিসির বৈঠকে কোন বিষয়গুলো আলোচনায় আসবে, জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ভারতের সঙ্গে অনেক বিষয় রয়েছে। আবার অমীমাংসিত বিষয়ের মধ্যে রয়েছে পাটের ওপর অ্যান্টিডাম্পিং, সীমান্ত ইস্যু ও জ্বালানি নিরাপত্তার নতুন ইস্যু। ভারত থেকে গম আমদানি প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে গম রপ্তানিতে তারা (ভারত) রাজি হয়েছে।
এ জাতীয় আরো খবর..