মির্জা ফখরুলসহ দেশের একটি চিহ্নিত মহল বাংলাদেশ থেকে বিদেশে অর্থ পাচার হচ্ছে বলে অভিযোগ করছেন উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, তাদের বক্তব্য যদি সত্য ধরে নিই তাহলে সাত শতাংশ কর দানের মাধ্যমে কেউ টাকা দেশে নিয়ে এলে ফখরুল সাহেবদের খুশি হওয়ার কথা। এখন কেন তারা অভিযোগ করছেন? আপনারা অর্থপাচারের অভিযোগ তুলবেন, আর যখন টাকা ফেরত আনার উদ্যোগ নেব তখনও অভিযোগ করবেন সেটা আপনাদের দ্বিচারিতা।
শনিবার (১১ জুন) আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেট নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ফখরুল সাহেব আপনি কী ভুলে গেছেন আপনার নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া অনৈতিকভাবে দুই দফায় দেশের প্রধানমন্ত্রী থাকা অবস্থায় অনৈতিক ও অবৈধভাবে অর্জিত প্রায় দেড় কোটি কালো টাকা সাদা করেছিলেন এবং কর অফিসে জরিমানা হিসেবে ৩৪ লক্ষ টাকা জরিমানা দিয়েছিলেন।
বাংলাদেশের মানুষ জানে, কারা দেশের টাকা বিদেশে পাচার করে। বেগম খালেদা জিয়ার দুই পুত্র দুর্নীতির টাকা সিংগাপুর ও আমেরিকায় পাচার করেছে।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুবিহীন বাংলাদেশে ক্লান্তিহীনভাবে দারিদ্র বিমোচনের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। যার কারণে দারিদ্র বিমোচনের লক্ষ্যে বিভিন্ন কল্যাণমূলক কার্যক্রম বাস্তবায়ন করে চলেছেন। করোনা মহামারির কারণে এ কর্মসূচি কিছুটা হোঁচট খেলেও ২০২২ সালে প্রকাশিত বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট আপডেট এর এক শীর্ষক প্রতিবেদনে ২০২০-২১ অর্থবছরে দারিদ্রের হার ১১.৯ শতাংশে উন্নীত হয়। যা করোনার পূর্বে ১০.৫ শতাংশে নেমে এসেছিল। প্রস্তাবিত বাজেটে দারিদ্র বিমোচন ও সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচির উপর অধিকতর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসা প্রসঙ্গে কাদের বলেন, প্রয়োজন হলে খালেদার চিকিৎসার জন্য বিদেশ থেকে চিকিৎসক আনতে পারে বিএনপি। শেখ হাসিনার উদারতা, মানবিকতায় খালেদা জিয়া মুক্ত হয়ে বাসায় আছেন। তার চিকিৎসার ক্ষেত্রে কোনো অসুবিধা নেই। প্রয়োজন হলে বাইরে থেকে চিকিৎসক আনুক, অসুবিধা নেই। এ ব্যাপারে আইন মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দেখছে। আমি কিছু বলতে চাই না।
এ সময় সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফরউল্লাহ, আবদুর রাজ্জাক, শাজাহান খান, জাহাঙ্গীর কবির নানক, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ, ডা. দীপু মনি, কার্যযনির্বাহী সদস্য মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ, সংস্কৃতি সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান উপস্থিত ছিলেন।