সারা দেশে একসঙ্গে উড়বে বেলুন। একই সঙ্গে প্রজেক্টরে দেখা যাবে পদ্মা সেতু। আরো এমন নানা আয়োজনে জমকালোভাবে হয়ে উঠবে পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। গতকাল শুক্রবার বিকেলে দেশের সব জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও পুলিশ সুপারের (এসপি) সঙ্গে ভার্চুয়াল সভা হয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের।
সেখানে সেতু উদ্বোধনের এসব বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের সভাপতিত্বে সভায় সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোর কমকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠক সূত্র জানায়, পদ্মা সেতুর উদ্বোধনটিকে স্মরণীয় করে রাখতে কী কী করা যায়, সে বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তথ্য-প্রযুক্তির ব্যবহার করে প্রজেক্টরের মাধ্যমে সারা দেশে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান একযোগে সম্প্রচার করা হবে। পদ্মা সেতুর মাওয়া প্রান্তে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখন বেলুন ওড়াবেন, ঠিক একই সময় প্রজেক্টরের সামনে থেকে সব জেলায় বেলুন ওড়ানো হবে। ওই দিন সারা দেশে কঠোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেও নির্দেশে দেওয়া হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, পদ্মা সেতুর উদ্বোধন উপলক্ষে কর্মসূচি ঠিক করে দেওয়া হবে সবাইকে। সে অনুযায়ী জেলা প্রশাসকরা অনুষ্ঠানের আয়োজন করবেন।
নোয়াখালীর জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান গতকাল রাতে কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘বৈঠকে পদ্মা সেতুর উদ্বোধন নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আমাদের কাছে নির্দেশনা আসবে। এরপর আমরা সেই নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করব। ’
বৈঠক সূত্র জানায়, জেলা পর্যায়ে স্টেডিয়ামে প্রজেক্টরের মাধ্যমে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান সরাসরি প্রচারের ব্যবস্থার প্রস্তাব করা হয়। প্রতি জেলার সংসদ সদস্যসহ গণ্যমান্য বক্তিরা সেখানে উপস্থিত থাকবেন। যত বেশি সম্ভব মানুষের উপস্থিতি নিশ্চিত করার কথা বলা হয়েছে। ঢাকা জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে রাজধানীর হাতিরঝিলে অনুষ্ঠিত হবে এক নজরকাড়া অনুষ্ঠান। রাতে লেজার লাইট থেকে শুরু করে নানা ধরনের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে ওই দিন। হাতিরঝিল থেকেও বড় পর্দায় দেখা যাবে পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান।
সেতু বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ২৫ জুন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মুন্সীগঞ্জের মাওয়া প্রান্ত থেকে সেতু উদ্বোধন করে সুধী সমাবেশে অংশ নেবেন। এরপর গাড়িতে সেতু পার হয়ে শরীয়তপুরের জাজিরা প্রান্তে আরেকটি উদ্বোধনী ফলক উন্মোচন করবেন। প্রধানমন্ত্রী ওই দিন মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার কাঁঠালবাড়ীতে এক জনসভায় যোগ দেবেন।
এ জাতীয় আরো খবর..