দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ পর্যায়ে উঠেছে সোনার দাম। এখন ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনা কিনতে গুনতে হচ্ছে এক লাখ ২০ হাজার টাকা। এমন পরিস্থিতিতে স্মারক স্বর্ণমুদ্রার দাম বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। প্রতিটি মুদ্রার দাম পাঁচ হাজার টাকা করে বাড়িয়ে এক লাখ পাঁচ হাজার টাকা পুনর্নির্ধারণ করা হয়েছে।
এত দিন দাম ছিল এক লাখ টাকা।
আন্তর্জাতিক ও স্থানীয় বাজারে সোনার দাম বাড়ার কারণে দাম বাড়ানো হয়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। নতুন এ দাম ১৮ বৃহস্পতিবার থেকে কার্যকর হবে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানায়, ২২ ক্যারেট স্বর্ণ দিয়ে তৈরি করা ১০ গ্রাম ওজনের ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস-২০০০’, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর জন্মশতবর্ষ ১৯২০-২০২০’ এবং ‘স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী ১৯৭১-২০২১’ শীর্ষক স্মারক স্বর্ণমুদ্রার (বাক্সসহ) বিক্রয়মূল্য এক লাখ পাঁচ হাজার টাকা পুনর্নির্ধারণ করা হয়েছে।
এর আগে গত ২৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ ব্যাংক স্বর্ণমুদ্রার দাম বাড়ানোর ঘোষণা দেয়, যা ২৭ ডিসেম্বর থেকে কার্যকর হয়।
এ ছাড়া বর্তমান বাজারে ১১টি স্মারক রৌপ্যমুদ্রা (ফাইন সিলভার) রয়েছে। এর মধ্যে আছে বাংলাদেশের স্বাধীনতার রজত জয়ন্তী-১৯৯৬, বাংলাদেশ ব্যাংক রজত জয়ন্তী-১৯৯৬, বঙ্গবন্ধু সেতু উদ্বোধন-১৯৯৮ বাংলাদেশের ৪০তম বিজয় বার্ষিকী, ‘বিদ্রোহী’ কবিতার ৯০ বছর-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শত জন্মবার্ষিকী-২০১১, আইসিসি ক্রিকেট ওয়ার্ল্ড কাপ-বাংলাদেশ ২০১১, বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের শতবর্ষ ১৯১৩-২০১৩, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর জন্মশতবর্ষ, স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী ১৯৭১-২০২১ ৯২৫ এবং বাংলাদেশ-জাপান কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তির মুদ্রা রয়েছে। এসব রুপার স্মারক মুদ্রার ওজন ২০ গ্রাম থেকে ৩১.৪৭ গ্রাম।
স্মারক রৌপ্যমুদ্রার দাম ছয় হাজার টাকা।
এদিকে গত ১৪ জুলাই সোনার দাম বাড়ানোর ঘোষণা দেয় বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস), যা ১৫ জুলাই থেকে কার্যকর হয়। ওই মূল্য অনুযায়ী ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনা এক লাখ ২০ হাজার ৮০ টাকা, ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনার দাম এক লাখ ১৪ হাজার ৬২২ টাকা, ১৮ ক্যারেটের ৯৮ হাজার ২৪৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি সোনা ৮১ হাজার ২২৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এ জাতীয় আরো খবর..