×
  • প্রকাশিত : ২০২৪-০৬-১৬
  • ৬৮ বার পঠিত
রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার একটি বাসায় এসি বিস্ফোরণের ঘটনায় বাবা, সন্তান ও বোনের পর মারা গেছেন দগ্ধ রকসি আক্তার (২০)। এ নিয়ে ঘটনাটিতে দগ্ধ পরিবারটির চারজনই মারা গেলেন।
বসুন্ধরায় একটি বাসার এসি বিস্ফোরণে ছেলে আয়ান (৩), বোন ফুতু আক্তার (১৮) ও বাবা আব্দুল মান্নানের (৬০) পর রোববার মারা গেলন দগ্ধ রকসি। প্রতীকী ছবি
বসুন্ধরায় একটি বাসার এসি বিস্ফোরণে ছেলে আয়ান (৩), বোন ফুতু আক্তার (১৮) ও বাবা আব্দুল মান্নানের (৬০) পর রোববার মারা গেলন দগ্ধ রকসি। প্রতীকী ছবি
হায়দার আলী

২ মিনিটে পড়ুন
রোববার (১৬ জুন) ভোর ৫টার দিকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যাান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান রকসি।

তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বার্ন ইনস্টিটিউটের প্লাস্টিক সার্জন ডা. আহমেদুর রহমান সবুজ। তিনি জানান, রকসির শরীরের ৫৫ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ ভোরে তিনি মারা যান।

এর আগে গত ১২ জুন ভোরে ৭০ শতাংশ দগ্ধ নিয়ে রকসির ছেলে আয়ান (৩) ও ১৩ জুন বিকেলে ৫৫ শতাংশ দগ্ধ নিয়ে মারা যান রকসির বোন ফুতু আক্তার (১৮)। আর গতকাল শনিবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে রকসির বাবা আব্দুল মান্নান (৬০) মারা যান। তার ৫০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল।

গত সোমবার (১০ জুন) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার এভারকেয়ার হাসপাতালের পাশের একটি ভবনের নিচ তলায় বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।

রকসি আক্তারের দেবর আহমেদ মোস্তফা জানান, তাদের বাড়ি কক্সবাজার জেলার মহেশখালী থানার মাইজপাড়া গ্রামে। আয়ানের বাবা সিরাজুল মোস্তফা দুবাই প্রবাসী। আয়ানের মা রকসির ব্রেইন টিউমার হয়েছিল। এভারকেয়ার হাসপাতালে তার অস্ত্রোপচার হয়েছিল। এজন্য চলতি মাসের ১ তারিখে তারা সপরিবারে গ্রাম থেকে ঢাকায় আসেন। হাসপাতালটির পাশের ওই ভবনের নিচ তলায় একটি বাসায় ভাড়ায় ওঠেন। সেখান থেকে নিয়মিত এভারকেয়ার হাসপাতালে যাতায়াত করতেন।

তিনি আরও জানান, ওইদিন সন্ধ্যায় বাসার এসি বিকট শব্দে বিস্ফোরণ হয়। এতে রুমের মধ্যে থাকা শিশুসহ পরিবারটির চারজন দগ্ধ হন। খবর পেয়ে তাদের উদ্ধার করে প্রথমে এভারকেয়ার হাসপাতাল নেয়া হয়। সেখান থেকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে নিয়ে আসা হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat