ভেসে গেছে দেড় হাজার পুকুর ও ঘেরের মাছ। মারা গেছে পাঁচ শতাধিক গবাদি পশু। উপড়ে পড়েছে অসংখ্য গাছপালা। শনিবার থেকে বন্ধ রয়েছে বিদ্যুৎ সরবরাহ।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিজানুর রহমান জানান, আট হাজার ৫০০ ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ৫২০ হেক্টর ফসলের ক্ষতি হয়েছে। ৫৭৭টি গবাদি পশু মারা গেছে। ৯টি বন্যা নিয়ন্ত্রণ বেড়িবাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
তিনি আরো জানান, ঘূর্ণিঝড় রিমালে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ১৪ হাজার পরিবার। তাদের খাদ্য সহায়তা হিসেবে চাল বিতরণ করা হবে। চেয়ারম্যানদের ডিও দেওয়া হয়েছে। এখন খাদ্যগুদাম থেকে চাল নিয়েই বিতরণ করবেন তারা।
জোয়ারের পানি বেড়ে যাওয়ায় কোথাও ভাঙা বাঁধ দিয়ে, কোথাও বাঁধ উপচে এবং কোথাও বেড়িবাঁধ নতুন করে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পুকুর ও ঘেরের মাছ পানিতে ভেসে গেছে।
এ ছাড়া বেড়িবাঁধের বাইরে থাকা নিচু এলাাকার প্রায় সবগুলো ঘেরের মাছ পানিতে ভেসে গেছে।
মৎস্য বিভাগ বলছে, এক হাজার ৩২০টি পুকুর ও ২০৫টি ঘেরের মাছ পানিতে ভেসে গেছে। এতে ছয় কোটি ৫০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে মৎস্য চাষিদের। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বেড়েছে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের কারণে। প্রাকৃতিক দুর্যোগে অনেক আগ থেকেই কোথাও বাঁধ ভাঙা ছিল। কোথাও বাঁধ নিচু ছিল এবং কোথাও নতুন করে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কোথাও কোথাও বাঁধও নেই।
কলাপাড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রাকিব হাসান বলেন, বাঁধের ভেতরে এই মুহূর্তে পানিতে প্লাবিত। পানি কমলে বাঁধের ক্ষয়ক্ষতির বিষয়টি জানানো যাবে।
এ ব্যাপারে পটুয়াখালী-৪ (কলাপাড়া-রাঙ্গাবালী) আসনের সংসদ সদস্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মো. মহিব্বুর রহমান জানান, ক্ষতিগ্রস্ত বেড়িবাঁধের প্রাক্কলন প্রস্তুত করে পাঠানোর জন্য কলাপাড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলীকে বলা হয়েছে। রাঙ্গাবালীর দুর্গত এলাকার মানুষের জন্য ১০ লাখ টাকা, গো-খাদ্যের জন্য দুই লাখ, শিশু খাদ্যের জন্য দুই লাখ, ২০০ মেট্রিক টন চাল এবং ৫০০ প্যাকেট শুকনা খাবার বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
এ জাতীয় আরো খবর..