×
  • প্রকাশিত : ২০২৪-০৫-২৮
  • ৬৭ বার পঠিত
বাংলাদেশের হার্ড হিটার নিয়ে হাপিত্যেশের সমাধান হতে পারেন জাকের আলী অনিক। উইকেটকিপার-ব্যাটার জাকের এরই মধ্যে প্রতিভার জানান দিয়েছেন। বিপিএলে কুমিল্লা ভিক্টরিয়ান্সের হয়ে হার্ড হিটিং ক্ষমতার জানান দিয়ে শ্রীলঙ্কা সিরিজে জায়গা করে নেন জাকের। এরপর আর পেছেনে ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে। প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ খেলার অপেক্ষায় দলের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রে আছেন তিনি।

জাকের আলী অনিকের জাতীয় দলে আসাটা বদলি খেলোয়াড় হিসেবে। শ্রীলঙ্কা সিরিজে আলিস ইসলামের ইনজুরি জাতীয় দলের দরজা খুলে দেয় জাকেরের সামনে। সুযোগটা কাজে লাগিয়ে বিশ্বকাপ দলে জাকের। বিশ্বকাপের স্কোয়াডে থাকা খেলোয়াড়দের সাক্ষাৎকার পর্বে বিসিবি আজ মঙ্গলবার (২৮ মে) প্রকাশ করেছে জাকের আলির সাক্ষাৎকার। সেখানেই তিনি শুনিয়েছেন, ক্রিকেটার হিসেবে তার উঠে আসার গল্প।

জাকের জানান, ২০০৭ সালের বিশ্বকাপ দেখেই একদিন বাংলাদেশের হয়ে খেলার স্বপ্ন দেখা শুরু করেছিলেন তিনি, ‘বাংলাদেশের ক্রিকেট দেখি ক্রিকেটে আসা। ২০০৭ থেকে বাংলাদেশের ক্রিকেট খুব ভালোভাবে ফলো করি। তখন থেকেই ইচ্ছা ছিল - বাংলাদেশের হয়ে ক্রিকেট খেলব। বিশেষ করে ২০০৭ এর ওয়েস্ট ইন্ডিজ ওয়ার্ল্ড কাপ, তখন থেকেই আসলে আমি ক্রিকেটটা খুব ভালোভাবে বুঝি। তখন থেকেই ক্রিকেটের প্রতি ভালোবাসা।’

দেশের হয়ে খেলার সুযোগকে জাকের ক্যারিয়ারে সবচেয়ে বড় পাওয়া মনে করছেন। বিশ্বকাপে ভালো করার এখন থেকেই পরিকল্পনা সাজাচ্ছেন তিনি, ‘দেশের হয়ে খেলাটা সবচেয়ে বড় ব্যাপার। আর সেটা যদি হয় বিশ্বকাপের মঞ্চে, তাহলে আরও ভালো। যখনই শুনলাম আছি (বিশ্বকাপ দলে) তখনই আমি ম্যাচ বাই ম্যাচ দেখা শুরু করে দিয়েছি। কার সঙ্গে কীভাবে খেলতে হবে, কোন প্রতিপক্ষের বিপক্ষে স্ট্র্যাটেজি কেমন হওয়া উচিত, আমি সেসব নিয়ে চিন্তাভাবনা করছি, পরিকল্পনা নিয়ে আগাচ্ছি। টিমের একজন হিসেবে আমি চাইব, আমরা প্রত্যেকটা ম্যাচে স্টেপ বাই স্টেপ ভালো পারফরম্যান্স করব, জিতব। নিজের দেশের জন্য বড় কিছু করব- সেটাও ব্যাক অব দ্য মাইন্ডে থাকছে।’

জাতীয় দলের হয়ে খেলা প্রথম ম্যাচেই দারুণ এক ইনিংস উপোহার দিয়েছিলেন জাকের। সেই ম্যাচের পর ড্রেসিংরুমে পেয়েছিলেন অভাবনীয় সংবর্ধনা। এই মুহূর্তটা তার কাছে এখনও স্পেশাল তার কাছে, ‘আমাকে যেভাবে টিমে ওয়েলকাম জানানো হয়েছে, ওই জিনিসটা আমার কাছে সবচেয়ে ভালো লেগেছে। হ্যাঁ, আমি একটা ভালো ইনিংস খেলছি এটা দেখা যেতে পারে, কিন্তু আমাকে যেভাবে ওয়েলকাম করা হয়েছে, ওটা আমার কাছে স্পেশাল।’

জাকেরের মায়ের স্বপ্ন ছিল, তার ছেলে একদিন দেশের হয়ে খেলবে। সেই স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। এই যাত্রায় পরিবারকে সবসময় পাশে পেয়েছেন তিনি, ‘আমার আম্মার স্বপ্ন ছিল যে, আমি দেশের হয়ে খেলব। সবসময় বলত, তোর তামিম ভাই, সাকিব ভাই, মাশরাফী ভাইয়ের টিমে কবে তুই খেলবি -এটাই আমার আম্মার স্বপ্ন থাকত। এখন আম্মা এই জিনিসগুলা নিয়ে খুবই গর্বিত। আব্বা যতি দিন বেঁচে ছিলেন, খেলা থাকলে মাঠে বসে থাকতেন। আব্বা যখন থাকতেন না, আমার বোন নিয়ে যেত। সবচেয়ে বড় কথা, আমার বড় ভাইকে দেখে আমার ক্রিকেট খেলাটার প্রতি আরও বেশি আগ্রহ আসে। যখন আমি বাংলাদেশের খেলা দেখা শুরু করি, ওই সময়ে আমার ভাইও ক্রিকেট খেলত। তো দুইয়ে মিলে সবার সাপোর্টটা আরও ভালো এসেছে।’

বড় কিছু পেতে হলে স্বপ্নটাকে বড় করতে বলছেন জাকের, ‘আমি ২০১০ এ ট্রায়াল দেই বিকেএসপিতে। বিকেএসপিতে আসার পরই স্বপ্নগুলো বড় হয়। শুরুতে আমার স্বপ্ন এতো বড় ছিল না। যখনই এসে বড় ভাইদের কাছ থেকে দেখলাম, বুঝতে পারলাম, স্বপ্নগুলো বড় করতে হবে। যদি আমি হবিগঞ্জে বসে থাকতাম, আমার কাছে মনে হয় না যে, আমি এতদূর (জাতীয় দল) পর্যন্ত আসতে পারতাম। অবশ্যই ইচ্ছা থাকবে আগের যে অ্যাচিভমেন্টগুলো আমরা অর্জন করতে পারিনি, এ বছর যেন আমরা এমন কিছু অর্জন করতে পারি।’

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat