×
  • প্রকাশিত : ২০২৪-০৫-১৩
  • ৮১ বার পঠিত
গাজীপুর মহানগরের টঙ্গীতে জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থার (এনএসআই) ভুয়া অফিস আবিষ্কার হয়েছে। এই সংস্থায় বিভিন্ন পদে চাকরি প্রদান, প্রশিক্ষণ, বদলি করাসহ একটি সরকারি অফিসের ১৮ ধরনের সরঞ্জাম উদ্ধার করে ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। একই সঙ্গে ভুয়া চাকরিরত দুই মহিলা ভিকটিমও উদ্ধার হয়েছে।

সোমবার (১৩ মে) বিকেলে গাজীপুর মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের দক্ষিণ বিভাগ সংবাদ সম্মেলন করে এ তথ্য জানায়।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন নীলফামারী জেলার কিশোরগঞ্জ থানার রণচণ্ডি-উত্তর পাড়া গ্রামের দেলোয়ার হোসেনের ছেলে লিয়ন ইসলাম (২৫), একই গ্রামের এবাইদুল হকের ছেলে মোজাহিদুল ইসলাম পায়েল (২৩), একই থানার ঘনচণ্ডি দক্ষিণ পাড়া গ্রামের রিয়াজুল ইসলামের মেয়ে রজিয়া সুলতানা (২২), একই থানার দক্ষিণ সোনাপুরী গ্রামের লিয়ন ইসলামের স্ত্রী রিপা আক্তার (৩৬), রাশিদুল ইসলামের মেয়ে রিখা মনি (১৭) ও লালমনিরহাট জেলার হাতিবান্ধা থানার দই খাওয়া গ্রামের মৃত আনসার আলীর ছেলে হুমায়ূন কবির প্রিন্স (৩৬)। তারা সকলেই গাজীপুর মহানগরের টঙ্গী পশ্চিম থানাধীন ভাদাম এলাকায় শহীদুল ইসলামের বাড়ির ভাড়াটিয়া।

সংবাদ সম্মেলনে গাজীপুর মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (দক্ষিণ) উপকমিশনার মোহাম্মদ নাজির আহমেদ খান জানান, এনএসআইয়ের তথ্যের ভিত্তিতে গাজীপুর মহানগর গোয়েন্দা (দক্ষিণ) বিভাগ এবং এনএসআইয়ের যৌথ অভিযানে গাজীপুর মহানগরের টঙ্গী পশ্চিম থানা এলাকার ভাদাম পশ্চিম পাড়ার শহীদ মিয়ার পাঁচতলা বিল্ডিংয়ের ফ্ল্যাটে অভিযান চালিয়ে উল্লিখিত ছয় আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়। 

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা স্বীকার করেন, এনএসআইয়ের পরিচয়ে জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে ভুয়া কাগজপত্র তৈরি করে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে নিরীহ মানুষের কাছ থেকে টাকাপয়সা হাতিয়ে নিচ্ছিলেন তারা।

প্রতারকচক্রের সদস্যরা ফেসবকু আইডি ব্যবহার করে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে ভিকটিমকে ঘটনাস্থলে নিয়ে আসত। এরপর এনএসআইয়ের প্রশিক্ষণ প্রদান এবং নিয়োগপত্র ও ভুয়া আইডি কার্ড প্রদান করে দেশের বিভিন্ন জায়গায় পোস্টিং ও বদলি করত। তারা প্রশিক্ষণকালে নিজেদের তৈরি বিধি মোতাবেক পদোন্নতি ও শাস্তিও প্রদান করত। 
ঘটনার শিকার মামলার ভিকটিম আফরোজ আশিক সিনথি (১৯) ও কানিজ ফাতেমাকে (১৮) ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।

তারা জানান, প্রতারকচক্রের সদস্যরা তাদেরকে চাকরি দেওয়ার জন্য উক্ত স্থানে পাঁচ-ছয় মাস প্রশিক্ষণ দিচ্ছিলেন।  তাদেরকে বিভিন্ন জেলায় পদোন্নতি প্রদান করে পোস্টিং দেওয়ার কথা জানান। এ জন্য তারা ১৫ থেকে ১৭ লাখ টাকা দিয়েছেন। 
চাকরিপ্রার্থী একটি গ্রুপকে ভুয়া পোস্টিং অর্ডার দিয়ে সব টাকা হাতিয়ে নেয় প্রতারকরা। ঘটনাস্থল থেকে প্রশিক্ষণ মডিউল, বই, প্রশিক্ষণ এয়ার পিস্তল, কম্পিউটার, ল্যাপটপসহ বিভিন্ন সামগ্রী উদ্ধার করা হয়।

পুলিশ জানায়, গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat