আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের কথা ইসরাইলই শোনে না। এই সরকার জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকার, তারা কাকে ভয় করবে?
সোমবার (১৩ মে) রাজধানীর ধানমণ্ডিতে দলের সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে সমসাময়িক বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে একথা বলেন তিনি।
সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন,
প্রথমত সাংবাদিক ভাইয়েরা, নিজ দেশ সম্পর্কে ধারণাটা একটু উঁচু রাখবেন। কোথাকার এক দেশের একজন আসবেন; তাদের প্রেসিডেন্টের কথাই ইসরাইল শোনে না। গাজায় হামলা না চালানোর বিষয়ে তাদের প্রেসিডেন্টের কথাই শোনে নাই ইসরাইল। দেশটির নেতা নেতানিয়াহু খোলামেলা বলেছেন, ‘মার্কিন প্রেসডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে আগেও আমাদের পার্থক্য ছিল; কাজেই তিনি কী বললেন তাতে কী। আমাদের কাজ আমরা করব। প্রয়োজনে আমরা লড়াই করব, একাই। আমরা একা যুদ্ধ করব।’ রাফা আক্রমণে বাইডেনের নির্দেশ তারা চরমভাবে উপেক্ষা করেছে। এখন আমরা জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকার, আমরা কাকে ভয় পাব?
তিনি বলেন, ‘মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু বাংলাদেশে আসছেন, তিনি কোন উদ্দেশ্যে আসছেন আমরা জানি না। কিন্তু এটা আমরা বলতে চাই, কেউ আমাদের দেশে এসে এখানে আবারও বিএনপিকে মদদ দেবে, চাঙ্গা করবে সেই পরিস্থিতি বিশ্ব রাজনীতিতে মোটেই নেই। আর যারা দাপটটা দেখাবে, তাদের দাপট দেখানোর ক্ষমতাটা মধ্যপ্রাচ্যেই সংকুচিত হয়ে গেছে। এখানে বিস্তৃত হবে, এমন মনে করার কোনো কারণ নেই।’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন,
আবারও আমেরিকার মদদে বিএনপি উত্তেজনা ছড়াবে, সেটা মনে করার কোনো কারণ নেই। এখানে কে আসছে তা নিয়ে ভাবছি না। মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু বাংলাদেশে আসছেন দু’দেশের সম্পর্ককে আরও এগিয়ে নিতে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে পাঠানো চিঠিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন যা বলছেন তার বাস্তবায়ন আমরা দেখব।
বিএনপি রাজনৈতিকভাবে রাজপথে নামলে, রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করবে দল। আর তারা বিকল্পভাবে আন্দোলন করলে সেভাবেই মোকাবিলা করা হবে এ কথা উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন,
আন্দোলন ছেড়ে আওয়ামী লীগের পালিয়ে যাওয়ার ইতিহাস নাই। বিএনপির মূলনেতা পালিয়ে আছেন। গতবছরের ২৮ অক্টোবর দলটির নেতারা বলেছিলেন, আওয়ামী লীগ পালানোর পথ পাবে না। পরে দেখা যায়, তারা অলিগলি দিয়ে পালিয়েছেন। আবারও আন্দোলনের নামে জ্বালাও-পোড়াও করলে আবারও পালাতে হবে তাদের। তারা রাজনৈতিকভাবে রাজপথে নামলে, রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করবে আওয়ামী লীগ। বিকল্পভাবে আন্দোলন করলে সেভাবে মোকাবিলা করা হবে।
কাদের বলেন, নির্বাচনে আসতে বিএনপির কাউকে বাধা দেয়া হয়নি। নির্বাচনে না আসার মাশুল আগামী দিনে আরও গুনতে হবে তাদের। এতে আওয়ামী লীগের কোনো দায় নাই।
জোটের প্রধান হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সময়মতো বৈঠক করবেন- এ কথা জানিয়ে কাদের উপজেলা নির্বাচন নিয়ে বলেন, মন্ত্রী-এমপির স্বজনদের উপজেলা নির্বাচনে অংশ না নেয়ার সিদ্ধান্তে অটল আছে আওয়ামী লীগ। যারা দাঁড়িয়েছে, তাদের শাস্তি বিভিন্নভাবেই হতে পারে। এর আগে আওয়ামী লীগ ৭৩ জন এমপি ও ২৫ জন মন্ত্রীকে বাদ দিয়েছে।
এ জাতীয় আরো খবর..