তাইজুল ও মুস্তাফিজদের দারুণ বোলিংয়ে মাত্র ১৭৮ রানে গুটিয়ে গেছে স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ক্যারিবীয়দের ওয়ানডে সিরিজে হোয়াইটওয়াশ করতে বাংলাদেশের টার্গেট ১৭৯ রান। এদিকে ২৭ মাস পর দলে ফিরে নিজেকে ছাড়িয়ে গেলেন তাইজুল। দলে ফিরেই উইন্ডিজ ব্যাটিং লাইন-আপে ধ্বস নামিয়ে ওয়ানডে ক্যারিয়ারে প্রথমবার ৫ উইকেটের দেখা পেলেন তিনি। এর আগে ক্যারিয়ার সেরা বোলিং ছিল ১১ রানে ৪ উইকেট।
আজকের ম্যাচটি জিতলে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে তৃতীয় ও সবমিলিয়ে ১৬তমবারের মতো প্রতিপক্ষকে হোয়াইটওয়াশ করবে টাইগাররা। ২০০৯ সালের ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে প্রথমবারের মতো ক্যারিবীয়দের হোয়াইটওয়াশ করেছিল বাংলাদেশ। গতবছর ঘরের মাঠেও ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৩-০ ব্যবধানে জিতেছিল তামিম ইকবালের দল।
টস জিতে ফিল্ডিং বেছে নেওয়া বাংলাদেশকে প্রথম সাফল্য এনে দেন তাইজুলই। ইনিংসের তৃতীয় ওভারের প্রথম বলেই ব্রেন্ডন কিংকে বোল্ড করে সাজঘরে পাঠান তাইজুল। নিজের দ্বিতীয় ওভারে তার ঘূর্ণিতে পরাস্ত হন শাই হোপ। ১৫ রানে ২ ওপেনারকে হারিয়ে ধুঁকতে থাকা ক্যারিবীয়দের বিপদ আরও বাড়ান মুস্তাফিজুর রহমান। ব্রুকসকে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে ফেলে সাজঘরে পাঠান কাটার মাষ্টার।
১৬ রানে তিন উইকেট হারিয়ে পুরান-কার্টির ব্যাটে চাপ সামলাচ্ছিলেন উইন্ডিজরা। একসময় বাংলাদেশের পথের কাঁটা হয়ে যাচ্ছিল এই জুটি। অবশেষে নাসুমের স্পিনে ভাঙে এই জুটি। দুজনের জুটিতে ৬৭ রানের সময় নাসুমকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে মিড অনে তামিমের হাতে ধরা পড়েন কার্টি।
মিরাজকে ছয় মেরে বড় ঝড়ের ইঙ্গিত দিচ্ছিলেন রভম্যান পাওয়েল। কিন্তু বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি তিনি। পরের ওভারে তাইজুলের বলে ফিরতে হলো তাকে। ২৯ বলে ১৮ রান করে বোল্ড হন তিনি। এরপরও ওয়েস্ট ইন্ডিজের আশার আলো হয়ে ছিলেন পুরান। তার ব্যাটে বড় কিছুর স্বপ্ন দেখছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। হাফ সেঞ্চুরি করে ফেলার পর হাত খুলেছিলেন ক্যারিবীয় অধিনায়কও। তবে তাকে বোল্ড করেই নিজের ফাইফার পূরণ করেন তাইজুল।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের অলআউটের পথে বাধা ছিলেন পুরান। তার বিদায়ের পর তাতে সময় বেশি লাগেনি। ৪ চার ও ২ ছক্কায় ১০৯ বলে ৭৩ রান করে সাজঘরে ফেরত যান পুরান। ৪৮ ওভার ৪ বলে ১৭৮ রানে অলআউট হয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। বাংলাদেশের পক্ষে ১০ ওভার হাত ঘুরিয়ে ২ মেডেনসহ ২৮ রান দিয়ে ৫ উইকেট নিয়েছেন তাইজুল।
এ জাতীয় আরো খবর..