বন্যাদুর্গত সিলেট অঞ্চলে ত্রাণ ও পুনর্বাসনে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আগামীতে দেশের দক্ষিণাঞ্চলে বন্যার আশঙ্কা রয়েছে। দক্ষিণাঞ্চলে বন্যা আসে ভাদ্র মাসের দিকে। সরকার সেই বন্যা মোকাবেলায় প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে। এই বন্যাও আমরা মোকাবেলা করতে পারব।
পদ্মা সেতু এই বন্যা মোকাবেলায় সহায়তা করবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে বাজেট অধিবেশনের সমাপনী ভাষণে তিনি এসব কথা বলেন। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশনে তিনি আরো বলেন, সিলেট বিভাগ ও নেত্রকোনা জেলায় বন্যার ক্ষতি কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা চলছে। ইতোমধ্যে ক্ষতিগ্রস্তদের প্রয়োজনীয় ত্রাণ দেওয়া হয়েছে। চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। পুনর্বাসন কাজও চলছে। লঞ্চ ও ট্রেনে অগ্নিকাণ্ডসহ সব মোকাবেলা করেছে সরকার। ওই সব ঘটনার তদন্তও চলছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
পদ্মা সেতু নির্মাণে উন্নয়নের স্বর্ণদুয়ার উন্মোচিত হয়েছে উল্লেখ করে সরকারপ্রধান বলেন, পদ্মা সেতুর ব্যয় নিয়ে অনেকে প্রশ্ন তুলেছেন। কিন্তু বাস্তবতা পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, এই ব্যয় তুলনামূলক বেশি নয়। ১৯৯৭ সালে আমি যখন জাপান গিয়েছিলাম, তখন পদ্মা সেতু ও রূপসা সেতু নির্মাণের বিষয়ে আলোচনা করি। ওই সময়ে রূপসা সেতু নির্মাণ হলেও পদ্মা সেতু হয়নি। পরে আবারও ক্ষমতায় এসে এই সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নিই।
তিনি আরো বলেন, বিশ্বব্যাংক পদ্মা সেতুতে অর্থায়ন থেকে সরে গেলে আমরা নিজস্ব অর্থায়নে এই সেতু নির্মাণের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। সংসদে এই ঘোষণা দেওয়ার পর জনগণের ব্যাপক সাড়া পাই। সর্বশেষ সেতু নির্মাণে সফল হয়েছি। এই সেতুতে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলার যোগাযোগব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন হবে। দেশের অর্থনীতিতে বড় ধরনের ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। এই দেশ এগিয়ে যাচ্ছে, এগিয়ে যাবে।
সংসদের বাজেট অধিবেশন প্রাণবন্ত ছিল বলে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই অধিবেশন বিরোধী দলকে যথেষ্ট সুযোগ দিয়েছে। বিশেষ করে বিএনপি নেতারা যথেষ্ট বক্তব্য রাখার সুযোগ পেয়েছেন। ইচ্ছামতো তারা কথা বলার সুযোগ পেয়েছেন। আর আমাদের যারা অফিশিয়াল বিরোধী দল তারাও আলোচনা করেছেন। অধিবেশনে ২২৮ জন সংসদ সদস্য বাজেট আলোচনায় অংশ নিয়েছেন। ৩৮ ঘণ্টা ৫৭ মিনিট আলোচনা হয়েছে। আলোচনায় অংশ নেওয়ার জন্য বিরোধীদলীয় নেতাসহ সব সংসদ সদস্যকে ধন্যবাদ জানান তিনি।
এ জাতীয় আরো খবর..