এর আগে, গত ১০ নভেম্বর হাইকোর্ট নির্বাচন কমিশনের (ইসি) প্রজ্ঞাপনকে অবৈধ ঘোষণা করেন। ওই প্রজ্ঞাপনে বাগেরহাটের চারটি সংসদীয় আসন কমিয়ে তিনটি এবং গাজীপুরের পাঁচটি আসন বাড়িয়ে ছয়টি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। হাইকোর্ট সেই প্রজ্ঞাপন বাতিল করে পূর্ববর্তী সীমানা অনুযায়ী বাগেরহাটে চারটি এবং গাজীপুরে পাঁচটি আসন রাখার নির্দেশ দেন।নির্বাচন কমিশনের জ্যেষ্ঠ সচিব আখতার আহমেদ জানিয়েছেন, হাইকোর্টের রায়ের বিষয়টি আমরা জেনে নিয়েছি এবং এ বিষয়ে ইসির সিদ্ধান্ত পরে জানানো হবে।
১৯৬৯ সাল থেকে বাগেরহাটে চারটি সংসদীয় আসনে নির্বাচন হয়ে আসছে। পূর্বের সীমানা অনুযায়ী বাগেরহাট-১ : চিতলমারী-মোল্লাহাট-ফকিরহাট, বাগেরহাট-২ : বাগেরহাট সদর-কচুয়া, বাগেরহাট-৩ : রামপাল-মোংলা এবং বাগেরহাট-৪ : মোরেলগঞ্জ-শরণখোলা।
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি হিসেবে ৩০ জুলাই নির্বাচন কমিশন তিনশ’ আসনের সীমানা নির্ধারণের খসড়া প্রকাশ করে। এতে বাগেরহাটে একটি আসন কমিয়ে তিনটি এবং গাজীপুরে একটি বাড়িয়ে ছয়টি করার প্রস্তাব থাকলেও শুনানি শেষে ৪ সেপ্টেম্বর চূড়ান্ত গেজেটে আগের সিদ্ধান্তই বহাল রাখা হয়।