নির্বাচন সামনে রেখে তপশিল ঘোষণার আগেই পদত্যাগ করতে পারেন দুই ছাত্র উপদেষ্টা মাহফুজ আলম ও আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। আজ বা আগমীকাল বৃহস্পতিবার মধ্যেই পদত্যাগ করার গুঞ্জন রয়েছে। একই সঙ্গে তাদের দায়িত্বে থাকা তিন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে কারা আসছেন, তা নিয়েও বেশ আলোচনা রয়েছে।
সরকারের একাধিক সূত্র বলছে, দুই উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ ও মাহফুজ আলম পদত্যাগের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। আজই তারা সেই ঘোষণা দিতে পারেন। সমসাময়িক বিষয়ে কথা বলতে আজ বুধবার বিকেল ৩টায় সচিবালয়ে জরুরি সংবাদ সম্মেলন ডেকেছেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। এ সংবাদ সম্মেলনেই তিনি তার পদত্যাগ ও নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ঘোষণা দিতে পারেন বলে আভাস পাওয়া গেছে। তবে মাহফুজ আলম আজই ঘোষণা দেবেন কি না তা নিশ্চিত নয়।
তারা মোট তিনটি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে রয়েছেন। মাহফুজ আলম তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়; আসিফ মাহমুদ স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার দায়িত্বে রয়েছেন।
তারা উপদেষ্টা পরিষদ থেকে সরে গেলে এসব মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালনে নতুন কাউকে নিয়োগ দেওয়া হবে, নাকি পুরোনো উপদেষ্টাদের মধ্যে এসব মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব বণ্টন করা হবে—এ বিষয়ে সরকারের মহলে নানা আলোচনা চলছে। তবে সরকারের বিভিন্ন সূত্রগুলো জানিয়েছে, শেষ মুহূর্তে এসে নতুন উপদেষ্টা নিয়োগের সম্ভাবনা কম। মূলত পুরোনো উপদেষ্টাদের মধ্যেই এই মন্ত্রণালয়গুলো বণ্টন করা হতে পারে।আলোচনা রয়েছে, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার দায়িত্ব পেতে পারেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন। তিনি বর্তমানে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার দায়িত্বে রয়েছেন। অতিরিক্ত হিসাবে উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খানও স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেতে পারেন। তিনি বর্তমানে শিল্প মন্ত্রণালয় এবং গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব রয়েছেন। এ ছাড়া পরিবেশ উপদেষ্টা রিজওয়ানা হাসানও কোনো মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেতে পারেন বলে গুঞ্জন রয়েছে।
তবে এই দুই ছাত্র উপদেষ্টার পরবর্তী গন্তব্য কোথায় হচ্ছে, নির্বাচন করবেন কি না তা নিয়ে কৌতূহল বাড়ছে।
অন্তর্বর্তী সরকার ঘোষিত আসন্ন ফেব্রুয়ারির ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে জুলাই আন্দোলনের সহযোদ্ধাদের গড়া দল—জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। দলটিতেই যোগ দিতে পারেন দুই ছাত্র উপদেষ্টা—এমন আলোচনা এরই মধ্যে বেশ জোরালো হয়েছে। এনসিপির অভ্যন্তরীণ পর্যায়েও এ নিয়ে আলোচনার অগ্রগতি হয়েছে বলে জানা গেছে। তবে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়নি। এনসিপির সঙ্গে তাদের কিছু টানাপোড়েনও রয়েছে। শেষ পর্যন্ত সমঝোতা না হলে তারা অন্য কোনো রাজনৈতিক গন্তব্যের দিকেও নজর দিতে