×
সদ্য প্রাপ্ত:
বাংলাদেশ ১৬ বছর ধরে কালো মেঘের নিচে চাপা পড়ে ছিল : তারেক রহমান উপদেষ্টার পদ থেকে পদত্যাগ করলেন মাহফুজ আলম ও আসিফ মাহমুদ নির্বাচন করব, পদত্যাগের বিষয়ে জানাবে প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর: আসিফ মাহমুদ এনসিপির লক্ষ্য গণভোট, কয়টা আসন পাবে সে হিসাব করছে না: নাহিদ এনসিপির প্রার্থী তালিকায় নাম নেই সেই রিকশাচালক সুজনের ইসির সিদ্ধান্ত অবৈধ, বাগেরহাটে ৪টি ও গাজীপুরে ৫টি আসন পুনর্বহাল আজ পদত্যাগ কর‍তে পারেন দুই ছাত্র উপদেষ্টা মস্কোর কাছে বিধ্বস্ত রুশ সামরিক কার্গো বিমান, নিহত ৭ ঢাকা-১১ নাহিদ ও ঢাকা-১৮ নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারীকে প্রার্থী ঘোষণা রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সিইসির সাক্ষাৎ আজ, যেকোনো সময় তফসিল ঘোষণা
  • প্রকাশিত : ২০২৫-১২-১০
  • ০ বার পঠিত
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রথম ধাপে ১২৫টি আসনে দলীয় প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। তবে নির্বাচনকে কেবল আসন জেতার লড়াই হিসেবে নয়, বরং এটিকে জনগণের আকাঙ্ক্ষার ওপর একটি ‘গণভোট’ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করাই মূল লক্ষ্য বলে জানিয়েছেন দলটির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম।
আজ বুধবার দুপুরে রাজধানীর বাংলামোটরে অবস্থিত এনসিপির অস্থায়ী কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে নেতৃত্বে আসা তরুণেরা শাপলা কলি প্রতীকে নির্বাচনে অংশ নিতে যাচ্ছে। নাহিদ ইসলাম ঢাকা–১১ আসনে প্রার্থী হচ্ছেন।
এনসিপির নির্বাচনকালীন কৌশল ব্যাখ্যা করে নাহিদ ইসলাম বলেন, নির্বাচনে আসন জেতাই যদি তাঁদের মূল লক্ষ্য থাকত, তাহলে তাঁরা অবশ্যই কোনো না কোনো জোটে ভিড়তেন। তিনি বলেন, ‘আমরা ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতেছি না, এটা খুবই পরিষ্কার। সিট কয়টা পাব কি পাব না, সেটা বিবেচনায় রেখেও নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতেছি না।’
তাঁর মতে, এবারের নির্বাচন হলো ‘গণভোট’, যেখানে ভোটের প্রধান প্রশ্ন হলো ‘হ্যাঁ অথবা না’ (সংস্কারের পক্ষে বা বিপক্ষে)। এই বার্তাটি জনগণের সামনে তুলে ধরার জন্যই এনসিপি নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে।
গণ-অভ্যুত্থানের এই ছাত্রনেতা এনসিপি গঠনের প্রেক্ষাপট তুলে ধরে বলেন, ‘গণ-অভ্যুত্থানের পর যদি ফ্যাসিবাদবিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো জনগণের ও তরুণ প্রজন্মের সংস্কারের আকাঙ্ক্ষা অনুযায়ী নিজেদের রাজনীতি পুনর্গঠন করত এবং দলের অভ্যন্তরে সংস্কার আনত, তাহলে এনসিপির জন্মের প্রয়োজন হতো না।’
তিনি অভিযোগ করেন, এনসিপি সাত মাস অপেক্ষা করার পরও বিদ্যমান রাজনৈতিক দলগুলো কোনো সমঝোতায় আসতে পারেনি। তারা নিজেদের দলাদলি–অন্তর্দ্বন্দ্বে ব্যস্ত ছিল, নিজেদের দলীয় এজেন্ডাকে প্রধান করে তুলেছে। এই ব্যর্থতার কারণেই এনসিপির জন্ম হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘গণ-অভ্যুত্থানের প্রধান এজেন্ডা ছিল সংস্কার ও বিচার। অথচ অন্য রাজনৈতিক দলগুলো গণভোট ও সংস্কারপ্রক্রিয়া বাস্তবায়নের আলোচনা না করে কেবল নিজেদের দলীয় এজেন্ডা নিয়েই প্রচার চালাচ্ছে।’
নির্বাচনী পরিবেশ নিয়ে পুরোপুরি সন্তুষ্ট নন বলে জানিয়ে নাহিদ ইসলাম প্রতিদ্বন্দ্বী দলগুলোর সমালোচনা করেন। তিনি অভিযোগ করেন, বিভিন্ন জায়গায় এনসিপির পোস্টার ছিঁড়ে ফেলা হচ্ছে। একই সঙ্গে, নির্বাচনী বিধি লঙ্ঘন করে পোস্টারিং ও টাকা খরচের মতো অনিয়ম হচ্ছে।
অন্য দলগুলোর মনোনয়ন প্রক্রিয়া নিয়েও সমালোচনা করেন নাহিদ ইসলাম। তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন জায়গায় মাফিয়াদের নমিনেশন দেওয়া হয়েছে। ঋণখেলাপিকে নমিনেশন দেওয়া হয়েছে।’ তিনি নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) এসব ঋণখেলাপি ও মাফিয়াদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানান। এ ছাড়া, তিনি বিএনপি–জামায়াত উভয় দলেই ‘অস্ত্রের মহড়া’র মতো সংস্কৃতির অভিযোগ করেন।
অন্যদিকে, নিজেদের প্রার্থী তালিকা নিয়ে এনসিপি আহ্বায়ক বলেন, ‘আমরা বলেছিলাম যে আমাদের এই যে মনোনয়ন তালিকাটা হবে অন্তর্ভুক্তিমূলক...সেখানে নারী-পুরুষ, সংখ্যালঘু, সংখ্যাগুরু, বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার সবকিছুর সমন্বয় আমরা করব।’ তিনি বলেন, মনোনীত কারও বিরুদ্ধে যদি কোনো সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ওঠে, তাহলে তাৎক্ষণিকভাবে তাঁর প্রার্থিতা বাতিল করা হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat