বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, শেখ হাসিনা সরকারের অধীনে কখনো অবাধ-সুষ্ঠু- নির্দলীয় নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব নয়। অতীতে সেটা একাধিকবার প্রমাণিত হয়েছে। সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য প্রয়োজন নির্দলীয়-নিরপেক্ষ সরকার। দেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটে এটা অপরিহার্য, এর কোনো বিকল্প নেই। কারণ, এই সরকারের অধীনে নির্বাচন মানে বাঘের সামনে ছাগলকে ছেড়ে দেওয়া।
সোমবার (৬ জুন) দুপুরে সেগুনবাগিচার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি ভবনের স্বাধীনতা হলে ‘ভয়েস ফর ডেমোক্রেসি অ্যান্ড ভোটার রাইটস’র উদ্যোগে ‘নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকারের অপরিহার্যতা এবং নির্বাচনপরবর্তী জাতীয় সরকারের প্রয়োজনীয়তা’-শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
রিজভী বলেন, এখনো যারা রাজপথে নামতে পারেননি তারা কাপুরুষ। আর যারা নামছেন তারা বীর পুরুষ। নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের জন্য রাজপথে যাদেরকে দুর্বার আন্দোলন সংগ্রাম ও অভিযাত্রায় এক সঙ্গে পাওয়া যাবে। বিজয়ের পর তাদের নিয়ে সম্মিলিতভাবে সরকার গঠন করা হবে। যা ইতিমধ্যে আমাদের দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ঘোষণা করেছেন।
সংগঠনের সভাপতি হুমায়ুন কবির বেপারীর সভাপতিত্বে এবং মৎস্যজীবী দলের আহ্বায়ক সদস্য ইসমাইল হোসেন সিরাজীর সঞ্চালনায় এতে আরও বক্তব্য রাখেন-বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা কামরুজ্জামান রতন, কাদের গনি চৌধুরী, আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ, কাজী রফিক, তাঁতী দলের কাজী মনিরুজ্জামান মনির, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক শাহ আলম, জাসাসের ডা. আরিফুর রহমান মোল্লা, কৃষক দলের জাহাঙ্গীর আলম, স্বেচ্ছাসেবক দলের আরিফুর রহমান তুষার প্রমুখ।
রিজভী বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার চিরদিনের জন্য রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় থাকতে চায়। কিন্তু তারা জানে,নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে সেটা সম্ভব হবে না। তাই সংবিধান থেকে নির্বাচনকালীন নির্দলীয়-নিরপেক্ষ সরকার ব্যবস্থা মুছে দিয়েছে। অথচ নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে তারা ১৭৩ দিন হরতাল করেছে, জ্বালাও-পোড়াও করেছে, অবরোধ করেছে। এই অবৈধ সরকার ক্ষমতায় থাকার জন্য সংবিধানকে দুমড়ে মুচড়ে কাগজের নৌকা বানিয়েছে।
রিজভী বিভিন্ন দেশের উদহারন তুলে ধরে বলেন,এখনো বিশ্বে গনতন্ত্রের কোন বিকল্প সৃস্টি হয়নি। উইনস্টন চার্চিল বলেছিলেন ,আজ পর্যন্ত পৃথিবীতে অনেক ধরনের শাসনব্যাবস্থা নির্মিত হয়েছে এবং ভবিষ্যতেও হবে।গণতন্ত্রকে কখনই একটি সুষম শাসনব্যাবস্থা হিসেবে চিহ্নিত করা যায় না।প্রকৃতপক্ষে পৃথিবীতে যত ধরনের শাসনব্যাবস্থা আছে তার মধ্যে সবচেয়ে নিকৃষ্ট হল গণতান্ত্রিক শাসনব্যাবস্থা।
এরপর চার্চিল বলেছিলেন,তবে গনতন্ত্রের চেয়ে উৎকৃষ্ট শাসন ব্যাবস্থা এখনো আবিস্কার হয়নি।তাই যতদিন এর চেয়ে উত্তম ও উৎকৃষ্ট শাসন ব্যাবস্থা আবিস্কার না হবে ততদিন গনতন্ত্রই সেরা।গনতন্ত্র অসুস্থ হলে বা ঘাটতি হলে আরো বেশী গনতন্ত্রের দরকার হয়। গণতান্ত্রিক দেশে সেটাই করা হয়।
এ জাতীয় আরো খবর..