×
  • প্রকাশিত : ২০২২-০৬-০১
  • ৯১ বার পঠিত
খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে জাতীয় বাজেটে উন্নয়ন বরাদ্দের ৪০ ভাগ কৃষি খাতে বরাদ্দের দাবি জানিয়েছে সমাজতান্ত্রিক ক্ষেতমজুর ও কৃষক ফ্রন্ট। ফ্রন্টের পক্ষ থেকে ধানসহ ফসলের লাভজনক দাম ও আর্মি রেটে গ্রামীণ রেশনিং চালুসহ ১২ দফা দাবি তুলে ধরা হয়েছে।

আজ বুধবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত সমাবেশে এই দাবি জানানো হয়। সমাবেশ শেষে মিছিলসহকারে অর্থমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি পেশ করা হয়।


সমাজতান্ত্রিক ক্ষেতমজুর ও কৃষক ফ্রন্টের কেন্দ্রীয় ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অধ্যক্ষ ওয়াজেদ পারভেজের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তৃতা করেন বাসদের সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশিদ ফিরোজ ও কেন্দ্রীয় সহকারী সাধারণ সম্পাদক রাজেকুজ্জামান রতন, কৃষক ফ্রন্ট কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আব্দুল কুদ্দুস ও শফিউর রহমান, আদিবাসী নেতা রবিউল টুডু, সমাজতান্ত্রিক মহিলা ফোরামের সভাপতি প্রকৌশলী শম্পা বসু ও সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের সভাপতি মুক্তা বাড়ৈ। সমাবেশ পরিচালনা করেন কৃষক ফ্রন্টের দপ্তর সম্পাদক নিখিল দাস।

সমাবেশ শুরুর আগে গণসংগীত পরিবেশন করেন চারণ সাংস্কৃতিক কেন্দ্র কুষ্টিয়া জেলার সংগঠক আব্দুল মান্নান। সমাবেশ শেষে প্রেস ক্লাব থেকে মিছিল শুরু হয়ে তোপখানা রোড, পুরানা পল্টন, জিরো পয়েন্ট, বঙ্গবন্ধু এভিনিউ, গুলিস্তান ঘুরে সচিবালয়ের গেটে পুলিশি বাধার মুখে পড়ে এবং সংগঠনের একটি প্রতিনিধিদল সচিবালয়ে গিয়ে অর্থমন্ত্রীর একান্ত সচিবকে স্মারকলিপি প্রদান করেন।

এর আগে সমাবেশে কৃষক নেতা বজলুর রশীদ ফিরোজ বলেন, দেশের মোট শ্রমশক্তির প্রায় অর্ধেক এখনো কৃষি কাজে নিয়োজিত। করোনাকালে এ খাত দেশের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করে মানুষদের বাঁচিয়ে রেখেছে। অথচ কৃষি খাতে বরাদ্দ দিন দিন কমছে। সম্প্রতি রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে অভিনাথ মারান্ডি ও রবি মারান্ডির আত্মহত্যার ঘটনায় নাগরিকদের প্রতি রাষ্ট্রের বঞ্চনার চিত্র ফুটে উঠেছে। সার, বীজ, কীটনাশক, সেচসহ কৃষি উপকরণের দাম ক্রমাগত বাড়ছে। ভেজাল সার ও বীজে বাজার সয়লাব। কৃষক ফসলের ন্যায্য দাম পাচ্ছে না। এ বছর সরকার সাড়ে ৬ লাখ টন ধান, সাড়ে ১১ লাখ টন চাল ও ৫০ হাজার টন আতপ চাল কেনার কথা বলছে। সরকার কৃষকের স্বার্থ না দেখে চালকল মালিকদের স্বার্থে চাল বেশি কিনছে। আমরা মৌসুমে ৫০ লাখ টন ধান প্রতি ইউনিয়নে ক্রয় কেন্দ্র খুলে ১২০০ টাকা মণ দরে কৃষকের কাছ থেকে ক্রয় করার জোর দাবি জানাই।

শ্রমিক নেতা রাজেকুজ্জামান রতন বলেন, দেশের ব্যাংক থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাট হচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে সরকার কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হচ্ছে। অথচ কৃষক বন্যায়-খরায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে ১০ থেকে ২০ হাজার টাকা কৃষিঋণ পরিশোধ করতে না পারায় সার্টিফিকেট মামলায় ও গ্রেপ্তারি পরোয়ানায় হয়রানির শিকার হয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। সহজ শর্তে কৃষিঋণ দেওয়াসহ ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত কৃষিঋণ সুদসহ কৃষকদের দীর্ঘদিনের দাবি আজও বাস্তবায়ন হয়নি। কৃষকদের শস্য বীমা চালু, নদী-খাল-জলাশয় দখল-দূষণ বন্ধ এবং আদিবাসীদের ভূমি অধিকার নিশ্চিতসহ সাংবিধানিক স্বীকৃতির দাবি জানান তিনি।

সমাবেশে অন্যান্য নেতা কৃষক-ক্ষেতমজুরদের রেজিস্ট্রেশন কার্ড প্রদান এবং ভিজিএফ, ভিজিডি, কর্মসৃজন প্রকল্পসহ সামাজিক সুরক্ষা খাতে উপকারভোগীর আওতা বাড়ানো ও বরাদ্দ বৃদ্ধি করে দলীয়করণ, দুর্নীতি বন্ধের দাবি জানান। নেতারা কৃষিভিত্তিক শিল্প, বন্ধ পাটকল, চিনিকল অবিলম্বে চালু, গ্রামীণ ক্ষেতমজুর-কৃষকদের বিনা মূল্যে চিকিৎসা নিশ্চিত করারও দাবি জানান।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat