×
  • প্রকাশিত : ২০২২-০৬-০১
  • ১১৪ বার পঠিত
হস্তচালিত (ননব্র্যান্ড) বেকারিপণ্যের দাম আজ বুধবার থেকে ২০ শতাংশ বাড়ানো হচ্ছে। বাংলাদেশ রুটি, বিস্কুট ও কনফেকশনারি প্রস্তুতকারক সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ জালাল উদ্দিন বিষয়টি গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন। উপকরণের ঊর্ধ্বগতিতে দাম সমন্বয়ের জন্য গতকাল মঙ্গলবার থেকে হুট করেই হস্তচালিত বেকারি মালিকরা অঘোষিত ধর্মঘটে যান। একই দিন এই মূল্যবৃদ্ধির সিদ্ধান্ত এলো।


সারা দেশে হস্তচালিত বেকারিপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে।
সংগঠনটির সভাপতি জালাল উদ্দিন বলেন, দাম বাড়ানোর দাবি অনেক দিনের। সে জন্য ২০ শতাংশ দাম বাড়ানো হচ্ছে। স্বয়ংক্রিয় মেশিনে তৈরি ব্র্যান্ডের বেকারিগুলো তাদের পণ্যের দাম বাড়িয়েছে। সে জন্য হস্তচালিত বেকারিগুলোও দাম বাড়ানোর দাবি করে আসছিল। সমিতির পক্ষ থেকে জানানো হয়, সবশেষ জানুয়ারি মাসে হস্তচালিত বেকারিপণ্যের দাম ১০ শতাংশ বাড়ানো হয়েছিল।

হস্তচালিত বেকারি দেশের গ্রামগঞ্জে, উপজেলা, জেলা ও সিটি করপোরেশন এলাকায় সড়কের পাশে ছোট ছোট দোকানে পাউরুটি, বনরুটি, কেক, বিস্কুটসহ বিভিন্ন ধরনের কনফেকশনারিপণ্য বিক্রি করে। এসব পণ্যের ভোক্তা হচ্ছেন দিনমজুর, শ্রমিক, রিকশাচালক, সবজি বিক্রেতাসহ সমাজের নানা শ্রেণি-পেশার লোক। ফলে দাম বৃদ্ধির সিদ্ধান্তে তাদের ওপর চাপ বাড়বে।

এদিকে গতকাল এসব বেকারির কেন্দ্রীয় মালিক সমিতির পক্ষ থেকে এক দিনের ধর্মঘটের সিদ্ধান্ত নেওয়া হলেও দেশের বিভিন্ন এলাকায় তার চেয়ে বেশি দিন ধর্মঘটের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন স্থানীয় বেকারি মালিকরা। এর মধ্যে গতকাল রাজধানীর বেশির ভাগ এলাকায় বেকারিপণ্যের সরবরাহ বন্ধ ছিল। গত সোমবার তাঁদের সরবরাহকারী বেকারি থেকে জানানো হয়, কয়েক দিন কোনো বেকারিপণ্য সরবরাহ করা হবে না।

রাজধানীর জোয়ারসাহারা এলাকায় চা বিক্রেতা হিরক মিয়া বলেন, গতকাল বেকারি থেকে কোনো পণ্য দেয়নি। গত সোমবার শুধু জানিয়েছে ধর্মঘট। তবে কত দিন সেটা বলেনি। দাম বাড়লে আবার পণ্য দেবে বলে জানিয়েছে।

রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় কয়েকটি দোকানে সরবরাহ না থাকায় বেকারিপণ্যে টান পড়েছে। অনেক দোকানে হস্তচালিত বেকারিপণ্যের বদলে বিভিন্ন কম্পানির তৈরি রুটি ও বিস্কুট বিক্রি হতে দেখা গেছে।

হস্তচালিত বেকারি সমিতির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সারা দেশের বেশির ভাগ বেকারিকে চিঠির মাধ্যমে দাম বাড়ানোর বিষয় জানানো হয়েছে। ফলে এ ধর্মঘট উঠে যাচ্ছে বুধবার থেকে।

বেকারি মালিকরা বলছেন, বেকারিতে যেসব কাঁচামাল লাগে তার মধ্যে প্রায় সব কিছুর দাম বেড়েছে। তেল, ডালডা, আটা-ময়দা ছাড়াও যেমন : চিনি, দুধ ও ডিমের দামও বাড়তি। এরই মধ্যে লোকসান পোষাতে না পেরে অনেক বেকারি বন্ধ হয়ে গেছে। বেকারি মালিকরা বলছেন, বড় বড় কম্পানির বেকারিগুলো, যা অটো ও সেমি-অটো স্বয়ংক্রিয় মেশিনে পণ্য বানায়, তারা এই হস্তচালিত বেকারি মালিকদের সংগঠনের সদস্য নয়। ওই সব কম্পানি এরই মধ্যে তাদের পণ্যের দাম বাড়িয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat